নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : বন্দরে কিশোর গ্যাং শামীম ও শাকিল গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে ধাওয়ায় আত্মরক্ষার্থে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দুই কিশোর জিসান ও মিহাদ এর মৃত্যুর ঘটনায় বন্দর থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।
নিহত স্কুল ছাত্র জিসানের পিতা বন্দর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৭ জন সহ মোট ২০ জনকে আসামী করে ১০ আগস্ট সোমবার রাতে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে, পুলিশ মামলার সূত্র ধরে ১১ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে বন্দরের নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকা থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাকৃতরা হলো : মোক্তার হোসেন (৬৭), আহমদ আলী (৬২), কাশেম (২৮), আলবি (১৭), আনোয়ার হোসেন (৪৫), শিপলু (২৩)। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দীন ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দীন ভুঁইয়া জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত স্কুল ছাত্র জিসানের পিতা বন্দর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মূলত এখানে বাদী পক্ষের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আর এ হামলায় মারধরের শিকার হয় নিহতরা। পরে নিজেদের আত্মরক্ষার্থে আরো ৭-৮ জন নৌকায় উঠে নদীতে ঝাঁপ দিলে জিসান ও মিহাদও ঝাঁপ দেয়। সবাই সাঁতরে পাড়ে আসতে পারলেও ওরা ২জন তলিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে শামীম ও শাকিল নামের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ এ সময় আত্মরক্ষায় জিসান ও মিহাদ ঘাটের একটি নৌকায় ওঠে। পরে একটি দল ওই নৌকাতে উঠলে পেছনে অপর দলটি নৌকাতে উঠলে আত্মরক্ষার্থে নদীতে ঝাঁপ দেয় তারা। আত্মরক্ষার্থে মিহাদ ও জিসানও নদীতে ঝাঁপ দেয়। অন্যরা সাঁতরে পাড়ে উঠলেও নিখোঁজ হয় মিহাদ ও জিসান। রাতে তারা বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারেন সংঘর্ষ ও নদীতে ঝাঁপ দেয়ার খবর। পরে জেলে দিয়ে জাল ফেলে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ জিসান ও মিহাদের লাশ।