নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে প্রধান আসামী করে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮ আসামী করে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টেবার) নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মামুন মাহমুদ, নাজমুল হাসান, ইয়াসিন ও রফিকুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পৃষ্টপোষকতাকারী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ অক্টেবর) সদর থানা এলাকায় স্পেশাল-১ মোবাইল ডিউটি করাকালিন সময় সকাল ১১ টায় সংবাদ পান নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের পিছনে প্যারাডাইস ক্যাবল ভবনের দক্ষিনে ২০-২৫ জনের একদল দুস্কৃতিকারী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছিল। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে প্রেসক্লাবে ডিউটিরহ অফিসার পিএসআই প্রবীর কুমার রায়কে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুস্কৃতিকারীরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরবর্তীতের গ্রেফতারকৃত চারজনের তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, মামলায় নাম উল্লেখিত আসামী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, হাসান আহম্মদ, মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মনিরুল আসম সজল, সরকার আলম, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান, রিয়াদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাষানী ও আবুল কাউসার আশাসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। এ সময় ঘটনাস্থল থকে ২টি পুরাতন জর্দ্দার কোটা যা লাল রংয়ের স্কটটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল ও ৪টি ইটের টুকরো জব্দ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের সাজা দেয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মিছিলের প্রস্তুতিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এর সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি) অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, বিএনপি কর্মী নাজমুল, ইয়াসিন ও রফিকুলসহ চার নেতাকর্মীকে আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ।