কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ২৭নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বিভিন্ন শিল্প কারখানার রাসায়নিক ও দূষিত বর্জ্য ছোট ছোট খালের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের মদনপুর, মুরাদপুর, ফুলহর ও চাপাতলী সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অত্র ওয়ার্ডের জনসাধারণ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে দিনাতিপাত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং, বন্দর স্টিল মিলস, সালাউদ্দিন রোলিং মিলস, মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ (কিউট), অনন্ত গার্মেস্টস ও এসএফ গার্মেন্টস সহ কয়েকটি কারখানার বিষাক্ত ও ক্যামিক্যালযুক্ত তরল পদার্থ আহাল্লার খালে গিয়ে পড়ছে এবং খালের পানির সাথে মিশে পানি নষ্ট হয়ে কালো রং ধারণ করে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

এতে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছ সহ জলে বাস করা বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী মরে ভেসে উঠছে। এতে করে পানি ব্যবহার তো দূরের থাক দুর্গন্ধে পানির কাছেই যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন খালগুলো খনন না করায় বর্জ্যে খাল ভরাট হয়ে পরিবেশ দূষন হচ্ছে এবং পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যত্রতত্র পানি আটকে থাকায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। এ কারণে স্থানীয়রা বিভিন্ন রোগ বালাই সহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে দিন কাটাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুরাদপুর অভিমুখে প্রবেশের একটি সড়কের নীচ দিয়ে পাইপে করে বিভিন্ন কারখানার বর্জ্য পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে খালের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে এমন ভয়াবহ অবস্থার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া গেছে।

অনেক কারখানায় ইটিপি প্লান্ট নেই। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে থাকলেও খরচ বেশী হওয়ায় তা চালানো হয়না। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় জনগণ এ ধরণের ভোগান্তির সম্মুখিন হচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ দৈন্যদশা থেকে মুক্তি দিতে এবং জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় মদনপুর, মুরাদপুর, ফুলহর, চাপাতলী, হরিপুর, বঙ্গশাসন সহ নিকটস্থ এলাকার জনসাধারণ।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া জানান, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। ইটিপি প্লান্ট ও কালার রিমুভার স্বচল রাখার কথাও বলা হয়েছে। পরিবেশ দূষণের কারণে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে ঐ সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত