নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : আসন্ন ঈদ উল আযহাতে কাবাঘরের আদলে নারায়ণগঞ্জে সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। আর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ঐক্যমত পোষন করেছেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রায় ৫ শতাধিক ইমাম ও স্থানিয় জনপ্রতিনিধিগণ। রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লি. এর সম্মেলন কক্ষে ইমাম ও মাদ্রাসা প্রধানদের সাথে এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এমপি শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ ঈদগাহে মুসল্লীদের জায়গা না হওয়ায় সড়কে মুসল্লিদের ঢল নামে। তবে সেখানেও মুসল্লিদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সড়কের পাশে পড়ে থাকা ময়লা সিটি করপোরেশন পরিষ্কার না করায় এর পাশে দাড়িয়েই মুসল্লিগণ জামাত আদায় করে। যা খুবই দু:খজনক ও কষ্টদায়ক। তাই আমি আল্লাহকে খুশি করার জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছি। আল্লাহ পাক আমাকে একাধিকবার হজ্ব করার তৌফিক দান করেছেন। সেখানে প্রবেশ করলেই যেন অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়। তাই ঈদগাহের পাশে থাকা সামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হবে। মানুষকে ভিজতে হবে না, রৌদে পুড়তে হবে না। চেষ্টা করবো কাবাঘরের আদলে সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজনটা নারায়ণগঞ্জে ইতিহাস হয়ে থাকবে। মানুষ যদি কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াতে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়তে পারে তাহলে নারায়ণগঞ্জেও এক সময়ে আসবে। কারণ আমাদের আশা এখানে শোলাকিয়ার চেয়েও বড় জামাত আয়োজন সম্ভব। আগামী রমজানেও ব্যপক আকারে খান ওসমানী স্টেডিয়ামে আমরা ঈদ জামাতের আয়োজন করবো।
এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসা প্রধানগন ঐক্যমত পোষণ করে বলেন, আমরা এমন ভালো উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কারণ মাঠে অধিকতর লোকের সাথে ঈদের জামাত পড়াই উত্তম। এর আগেও আমাদের এমপি শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জের পতিতাপল্লী উচ্ছেদের কারণে শুধু নারায়ণগঞ্জে না, সারাদেশের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এ উদ্যোগটি সাধুবাদ পাওয়ার মত। তবে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ উদ্যোগ নিলে তা থেকে পিছ পা হওয়া যাবে না। এটা হলে নারায়ণগঞ্জে প্রথমবারের মত ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফজলুল হক, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসনে, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবর রহমান, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, ইব্রাহীম চেঙ্গিস, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, মহানগর স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসনে, সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, নাজমুল আলম সজল, শফিউদ্দিন প্রধান, শাহজালাল বাদল, কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা শওকত হাশেম শকু সহ বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম, অধ্যক্ষ এবং প্রতিষ্ঠাতাগন নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।