নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে প্রথমবারের মতো বৃহত্তম ঈদ জামাতকে ঘিরে মুসল্লিদের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ ও উদ্দিপনা দেখা যায়। ২২ আগষ্ট বুধবার সকাল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়। নামাজ শুরু হওয়ার আগেই মুসল্লিদের ভিড়ে একে এম সামছুজ্জোহা স্টেডিয়াম, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ পরিপূর্ণ হয়ে তা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে চলে যায়। জামাতস্থলের মিম্বরকে প্রতিকীভাবে রুপ দেয়া হয়েছিলো কাবাঘরের আদলে। জড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো কালো গিলাব ও সোনালী রংয়ের পর্দা। যা মুসল্লীগনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।
নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে এটাই বৃহত্তর ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র ঈদ উল আজহা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৪ ( ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ ) আসনের এমপি শামীম ওসমান এ মহৎ উদ্যোগটি গ্রহন করেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের একে এম সামছুজ্জোহা স্টেডিয়াম ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক সহ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এর সমন্বয়ে এ ঈদের জামাত কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো।
মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় ছিলো র্যাব, পুলিশ ও আনসার সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা। জামতস্থলে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কেউ বেগ নিয়ে আসলে কিংবা সন্দেহ হলে তাদের তল্লাশী চালানো হয়েছিলো।
এ দিকে পবিত্র ঈদ উল আজহা নামাজে ইমামতি করেন শহরের চাষাঢ়া নূর মসজিদের খতিব মো. আব্দুস সালাম। নূর মসজিদের খতিব মো. আব্দুস সালাম সকল উম্মতি মোহাম্মদীকে হেদায়েতের দোয়া করেন।
জান্নাতে প্রবেশ ও জাহান্নাম থেকে বাচাঁর জন্য আল্লাহর হুকুম ও শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লামের তরীকায় চলার নির্দেশ দেন। এছাড়াও দেশ ও জাতির শান্তি কামনা সহ গুনাহ মাফের জন্য দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন।
এ সময় জামাতে অংশ নেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রেজাউল বারী, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদা হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, গ্রীণ ফর পিসের নির্বাহী পরিচালক আরিফ মিহির সহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা। নামাজ শেষে সকলেই শান্তিপূর্ণ ভাবে বাড়ি ফিরে যায়।