ওসমান পরিবারের কবরস্থানে শ্মশানের মাটি, ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের কবরস্থানে শ্মশানের পোড়া মাটি রাখায় ক্ষোভ জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা সরিয়ে নিতে আলটিমেটাম দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। আজ ৯ আগস্ট সোমবার  বিকালে শহরের মাসদাইর অবস্থিত কেন্দ্রীয় কবরস্থানে গিয়ে এ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি। এ সময় বাবা-মাসহ স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন শামীম ওসমান।

বাবা-মাসহ স্বজনদের কবরের পাশে কান্না জড়িত কন্ঠে ক্ষোভের সাথে নাসিক এর নিয়োজিত ঠিকাদার মো. মামুনকে এমপি শামীম ওসমান বলেন,  আপনার বাবা-মা বা স্বজনদের কবরে কী শ্মশানের মাটি দিয়ে ঢেকে রাখতে পারবেন ?

আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কবরগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে এবং সিটি করপোরেশন এর অপরাধীদের বের করে ব্যবস্থা নিতে দাবি করে দু চোখে ভরা অশ্রুজলে শামীম ওসমান সাংবাদিকদের জানান, আমার বাবা-মা, ভাই, দাদী সহ অন্যান্য স্বজনদের কবর পাশ্বর্বতী শ্মশানের মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মৃত মুক্তিযুদ্ধাদের কবরেও শ্মশানের মাটি দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, গত ২৭ই জুলাই মঙ্গলবার আলী আহম্মেদ চুনকা সাহেবের স্ত্রীর কবর জিয়ারত করতে আসি কবরস্থানে। ওই সময় দেখি শ্মশান সংস্কারের কাজ চলছে। আজ এসে দেখি আমার আব্বা-আম্মা, ভাইয়া ও দাদির কবরের ওপর মাটির স্তূপ।

তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, এ কবর আমি নিজ হাতে বানিয়েছি। আজকে আমার কাছে মনে হচ্ছে ব্যর্থ সন্তান আমি। সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই এ ধরনের কাজ কেউ মেনে নেবেন ? কোন মানুষ এমন কাজ করতে পারে না। এটা ইবলিশের কাজ। শয়তান মানুষের ভিতরে প্রবেশ করে এ কাজটি করেছে।

এমপি শামীম ওসমান বলেন, এ অবস্থা দেখার পর আমি গাড়িতে একা বসেছিলাম। আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। আমি নারায়ণগঞ্জ বাসীকে বলতে চাই দয়া করে আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমি জানি জনগণের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কতটুকু। এমনিতেই চারদিকে মৃত্যুর মিছিল। এর মধ্যে এ অমানবিক কাজ।

জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার মো. মামুন বলেন, কবরস্থানে শ্মশানের মাটি ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। শ্মশান সংস্কারের সময় মাটি রাখা হয়েছিল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মাটি এখানে চলে এসেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ বদরশাহ বলেন, কবরস্থানে শ্মশানের মাটি দেয়া সমীচীন হয়নি। শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, মানবিক দিক থেকেও এটা উচিত নয়। আমি মসজিদে নামাজ পড়াই ও দোয়া করি। এ বিষয়টি আমি দেখভাল করি না।

কবরস্থানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাকারিয়া বলেন, এটা শ্মশানের মাটি কিনা আমি নিশ্চিত না। তবে ঠিকাদাররা শ্মশান ও কবরস্থানের উন্নয়ন কাজ করেছেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত