নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : না:গঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচন না দিয়ে বন্দর থানা দলিল লিখক ও ভেন্ডার সমিতির ভূয়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া নির্বাচন আয়োজনের গুরু দায়িত্ব ছিল যে উপদেষ্টা মন্ডলীর উপর খোদ তারাই গুরুত্বপূর্ণ ও পছন্দে পদ দখল করে বন্দরে অত্র দলিল লিখক সমিতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন বলে সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত জানা যায় যে, অত্র সমিতি গঠনের পর থেকেই নির্বাচনের মাধ্যমে ৩ বছর মেয়াদী কমিটি নির্বাচিত হয়ে আসছে, কিন্তু মাঝখানে ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোটের দেশ শাসনের সময় বর্তমান সভাপতি মনির হোসেন দলিল লিখকদের প্রতি দলিলের বিপরীতে জমা করা ফান্ডের একটি বিশাল অংশ বন্দরের এক শীর্ষ স্থানীয় বিএনপি নেতাকে মাসোয়ারা দিয়ে কমিটির পদ দখল করে রেখেছিলেন এবং কোনরূপ নির্বাচন না দিয়ে একটানা ৬ বৎসর অত্র কমিটির সভাপতি থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোপূর্বে ১৫/১১/১৫ তারিখে অত্র সমিতির পক্ষ থেকে অহিদুল ইসলাম কর্তৃক এমপি সেলিম ওসমানের কাছে প্রেরিত এক পত্র মারফত তার সত্যতা মিলেছে। উক্ত চিঠিতে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২ বছর হলেও এখনও পর্যন্ত কমিটি ভেঙ্গে না দিয়ে পূর্বের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সমিতি পরিচালনা করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন উপদেষ্টা কমিটি গঠনের মাধ্যমে অচিরেই নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করে অত্র দলিল লিখক ও ভেন্ডার সমিতির কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার অনুরোধ করা হয় এবং উক্ত চিঠিতে আঃ করিম দেওয়ান, মাসুম ভূঁইয়া, হানিফ মিয়া, আঃ আজিজ দেওয়ান, জসিম উদ্দিন ও দবির হোসেন ৬ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত চিঠির প্রেক্ষিতে এমপি সেলিম ওসমান সাব রেজিস্ট্রারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে পূর্বোক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমাযুন কবির মৃধা কর্তৃক ২১/০৭/১৬ তারিখে এমপির বরাবর ৩ বৎসর মেয়াদী বন্দর থানা দলিল লিখক ও ভেন্ডার সমিতির কার্যকরী কমিটি গঠনের অনুমতি চেয়ে একটি পত্র প্রেরণ করলে পুনরায় এমপি সেলিম ওসমান সাব রেজিস্ট্রারকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে এবং এমপির নির্দেশনাকেই মনগড়া মত কমিটি গঠনের সুপারিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছে কুচক্রি মহল। শুধু তাই নয়, উক্ত চিঠিতে হাতে লিখা একটি ভুয়া স্মারক নং বসিয়ে অত্র স্মারক নাম্বারটি কমিটির নামের তালিকায় হাতে লিখে বসিয়ে এমপি সেলিম ওসমানের সাথে হঠকারিতা করেই ক্ষান্ত হয়নি কুচক্রি মহল, এমনকি এই কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছেন এমপি মহোদ্বয় এমন কথাই বলে বেড়াচ্ছেন কমিটিতে নিজে পদ দখলকারীরা। তাছাড়া চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, যারা নির্বাচন আহবানের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন সেই মাসুম ভূঁইয়া ও দবির হোসেন কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি ও হানিফ মিয়া ও জসিম উদ্দিন সহ-সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে চরম নির্লজ্জের পরিচয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সকল দলিল লিখক ও ভেন্ডার। এমনকি যে হুমায়ন কবির মৃধা কমিটি গঠনের অনুমতি চেয়ে পত্র লিখেছেন খোদ তিনিই সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে আবারও অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানাতে চান অত্র সমিতিকে। ২৬ জুলাই মঙ্গলবার স্বঘোষিত কমিটির নামের তালিকা দেখতে পেয়ে ও পত্র-পত্রিকায় এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হলে দলিল লিখকরা চরম ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং মঙ্গলবার সারাদিন লজ্জায় সমিতির আশেপাশেও দেখা যায়নি উক্ত স্বার্থান্বেষী মহলকে, এমন তথ্যই দিয়েছেন কয়েকজন দলিল লিখক। ভুয়া কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ২৭ জুলাই সকাল ১১ টায় বন্দর সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দলিল লিখকরা এক সভায় মিলিত হবেন বলে খবর পাওয়া গেছে।