এবারো খালি মাঠ !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা। এখনো পর্যন্ত দিন-তারিখ ঠিক না হলেও চলছে প্রচারণাও। এর মধ্যে সদর উপজেলার গোগনগর, আলীরটেক এলাকা এখন সবচেয়ে বেশী এগিয়ে। তবে আলোচিত হলেও উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ এবারো খালি মাঠে গোল দেয়ার সপ্নে বিভোর।

সেগুলো হলো- বক্তাবলি, কাশিপুর ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ। বর্তমানে বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এম শওকত আলী, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদে এম সাইফুল্লাহ বাদল এবং কুতুবপুরে মনিরুল আলম সেন্টু। যাদের প্রত্যেকেরই আবার রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ও।

এম শওকত আলী- আওয়মীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। সে হিসেবে ওই ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও প্রভাব। পর পর তিনবার তিনি চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে এখনো পর্যন্ত তেমন কাউকে দেখা যায়নি। অনেকেই হাক ডাক দেয়ার চেষ্টা করে তবে তা  হয়ে উঠে না। আর প্রতিবারের মত এবারো খালি মাঠেই গোল দিতে যাবেন তিনি। যদিও এক যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করা একজনের নাম শোনা যাচ্ছে।

এম সাইফুল্লাহ বাদল- তিনি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো এলাকাজুড়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে তার রয়েছে বিশাল কর্মীবাহিনীও। বছর বছর ধরে তিনি ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সবশেষ দলীয় সমর্থনে তিনি চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় সর্বোচ্চ প্রভাবে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি তার বিরুদ্ধে দাড়াতে চায় না। সেক্ষেত্রে তিনিও এবারের নির্বাচনী মাঠে একক বলয়ে প্রভাব বিস্তার করবেন বলে স্থানীয়দের মাঝে গুঞ্জন চলছে।

অনেকেই বলছেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের থানা এলাকার সর্বোচ্চ পদে আছেন তারা, তারপরেও ইউনিয়ন পরিষদও আকড়ে বসে আছেন। যে কারণে অন্যদেরকে আর সুযোগ না দেয়ায় মেধাবী ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তুলনা নতনু মুখ।

অন্যদিকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত মনিরুল আলম সেন্টু। তবে আওয়ামী দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সখ্যতা থাকার সুবাধে বারবারই নির্বাচিত হন তিনি। তাছাড়া দলটির পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম ওরফে সেন্টু। এ ঘটনার পর  মনিরুল আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এপর্যন্ত কুতুবপুর ইউনিয়নের পর পর তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সেন্টু।

দলীয় সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয় মনিরুল আলম সেন্টু। প্রথম দফায় সুলতান মোল্লা কে দলীয় সমর্থন দেন সাবেক এমপি মু.গিয়াস উদ্দিন, দ্বিতীয় দফায় পান্না মোল্লা কে দলীয় সমর্থন দেন  ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম। দুইবার সেন্টু কে প্রত্যাখান করা হয়। তারপরেও তিনি তার পদে অটল রয়েছেন। তবে স্থানীয়দের মাঝে গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে এবারো আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচনে তিনি একক বলয় গড়ে তোলবেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত