নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ মাদক সম্রাট একাধিক মামলার আসামী সালাউদ্দীন বিটুর মাদক সাম্রাজ্য এখনো অক্ষত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । সুত্রের দাবী একটি সাধারন পরিবারের সন্তান হয়েও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ইয়াবা, বিদেশী মদ, বিয়ার, ফেনসিডিল, আর ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে এখন এই শীর্ষ মাদক সম্রাট এখন কোটিপতি বনে গিয়াছেন । সূত্র আরো জানায়, নারায়ণগঞ্জের গোপচর, তামাকপট্রি, শীতলক্ষ্যা, শহীদ নগর এলাকা জুড়ে অভিনব কায়দায় মাদকের বড় বড় চালান প্রবেশ করছে এই শীর্ষ মাদক সম্রাটের মাধ্যমে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, গত প্রায় ৫/৬ মাস পূর্বে গোপচর এলাকাস্হ বগুড়া ট্রান্সপোর্ট থেকে একটি ফেনসিডিল ভর্তি গাড়ীসহ উক্ত ট্রান্সপোর্টের মালিক ইমরান, সীমান্তবর্তী জেলা যশোরের জনৈক এক ফেনসিডিল ব্যবসায়ী সহ মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু কে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মিন্টু রোডের গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীম। এ ঘটনায় মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু, ইমরান এবং যশোরের ফেনসিডিল ডিলার প্রায় ২ মাস ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন ।
উল্লেখ্য যে, ঢাকা মিন্টু রোডের পুলিশের ওই টীম মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে এই মাদক সম্রাট, তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং ফেনসিডিল ভর্তি গাড়ীটি উদ্ধার করেছিল বলে জানা গেছে । সুত্রে আরো প্রকাশ ঢাকা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে ফের মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠেন মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু ও তার সহযোগীরা । ফেনসিডিল মামলায় ঢাকার কারাগার থেকে বের হওয়ার মাত্র কয়েক দিন পর কয়েক শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নাঃগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) একটি টীমের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে নাঃগঞ্জ কারাগারে বন্দী ছিলেন ।
এর পরে আইনের ফাক ফোকঁড় পেড়িয়ে এই মামলায় জামিন লাভ করেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু এবং ফের সক্রিয় হয়ে উঠেন মাদক সহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় । সুএে জানা গেছে, তামাক পট্রি, সৈয়দপুর, শহীদ নগর, শীতলক্ষ্যা এবং গোপচর এলাকার শীর্ষ মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটুর বিরুদ্ধে ঢাকা মিন্টো রোড ডিবিতে, নাঃগঞ্জ ডিবি এবং নাঃগঞ্জ সদর মডেল থানায় মাদক, হত্যা সহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে । মুন্সীগঞ্জের আদি বাসিন্দা হাবলু মিয়ার ছেলে সালাউদ্দীন বিটুর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ এই মাদক সম্রাট সৈয়দপুর, তামাকপট্রি, শহীদ নগর, গোপচর এলাকায় মাদক ব্যবসার পাশাপাশি অনেক মানুষের সম্পত্তি বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে, নিজের ইচ্ছা মোতাবেক দাম দিয়ে কিনে নিয়েছেন ।
বর্তমানে এই শীর্ষ মাদক সম্রাট বিটুর উল্লেখিত এলাকায় কয়েক বিঘা জমি-জমা রয়েছে, যা কোনো টি ই সে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে । এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, একটি নিম্নমধ্যবিও পরিবারের সন্তান এই সালাউদ্দীন বিটু গত কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা সহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হয়ে অবৈধ উপায়ে কোটিপতি বনে গিয়েছেন, গত কয়েক বছর পূর্বে নাঃগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন এলাকার তামাকপট্রি এলাকায় ৩ ইউনিটের ৪ তলা একটি বিল্ডিং কেনেন এই মাদক সম্রাট, এর পরে এখন সেটি ৭ তলায় রুপান্তরিত করেছেন ।
মাএ কয়েক বছরে জিরো থেকো হিরো বনে যাওয়া এই মাদক সম্রাটের অর্থের উৎস কোথায় এবং তার অবৈধ আয় বর্হিভূত সম্পওির হিসাব তদন্তের জন্য দূর্নীতি দমন কমিশন সহ জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন নাঃগঞ্জের সচেনতন মহল । এই সব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে সালাউদ্দীন বিটুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।