এখনও ধরা ছোয়ার বাহিরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বিটু

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শহরের বিভিন্ন স্থানেই প্রতিনিয়ত চলছে মাদক বিরোধী অভিযান। এতে অনেকাংশেই গ্রেফতার হচ্ছে ছিচকে মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবনকারীসহ চিহ্নিতরাও। কিন্তু এখনও ধরা ছোয়ার বাহিরে্ই রয়ে গেছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামী সালাউদ্দিন বিটু (৩৬)। সে তামাকপট্টি এলাকার আবিদ আলী চৌধুরী ওরফে হাবলু চৌধুরীর ছেলে।

জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বিপিএম পিপিএম বার এর কঠোর নির্দেশনার পর ইতোমধ্যেই গাঁ ঢাকা দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন অপরাধীরা। সম্প্রতি শনিবার (১৯ জানুয়ারী) রাতে শহরের তামাকপট্টি এলাকায় তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালিয়েছে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। তবে এবারো পুলিশের সতর্কতার অভিযানকে তকমা লাগিয়ে রহস্যজনকভাবেই পালিয়ে গেছে মাদক ব্যবসায়ী বিটু।

সূত্র মতে, এসআই সাহাদাত হোসেন ও তার সাথে থাকা দায়িত্বরত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা রাতে অভিযান পরিচালনাকালে বিটুর এক সহযোগিকে আটক করে । এসময় মাদক ব্যবসায়ী বিটুর নেতৃত্বে তার সহযোগিরা পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করে তখন টহলে ব্যবহৃত ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক আব্বাস আহত হয়। চালক আব্বাস জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর মামলা না হলেও পুলিশের পক্ষে একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছে।

স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিটু এলাকার প্রভাবশালীদের শেল্টারেই এমন অপরাধ করে যাচ্ছে । শেল্টারদাতাদের সকলেই খুব ভালো করে চিনলেও কেউ তাদের নাম বলতে সাহস পায়না। বিভিন্ন সভা সমাবেশে তাকে লোকজন নিয়ে মিছিলে উন্মুক্ত ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করা হলে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা পাবে যুবসমাজ।

এদিকে পুলিশের একাধিক টিম গত দুইদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাড়াসী অভিযান চালিয়েও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটুকে আটক করতে পারেনি। এ বিষয়ে সদর মডেল থানা অফিসার ইনর্চাজ মো. কামরুল ইসলাম পিপএম বলেন, সালাউদ্দিন বিটু একজন তালিকাভুক্ত আসামী। তাকে গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওইদিন আমাদের পুলিশ গোপন তথ্যানুযায়ী অভিযান চালিয়েছিল কিন্তু সে আমাদের অবস্থান টের পেয়ে ওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, গতবছর গোপচর এলাকাস্থ বগুড়া ট্রান্সপোর্ট থেকে একটি ফেনসিডিল ভর্তি গাড়ীসহ উক্ত ট্রান্সপোর্টের মালিক ইমরান, সীমান্তবর্তী জেলা যশোরের জনৈক এক ফেনসিডিল ব্যবসায়ী সহ মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু কে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মিন্টু রোডের  গোয়েন্দা পুলিশের একটি টীম। এ ঘটনায় মাদক সম্রাট সালাউদ্দীন বিটু, ইমরান এবং যশোরের ফেনসিডিল ডিলার প্রায় ২ মাস ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন । পরবর্তীতে এখনো বহাল তবিয়তে সেই শীর্ষ মাদক সম্রাট বিটু।

add-content

আরও খবর

পঠিত