নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : উচ্ছেদের প্রতিবাদে শহরে চলছে হকারদের আন্দোলন। হকারদের কোনরূপ ছাড় দিতে নারাজ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। জনগণের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অনড় তাঁরা।
বঙ্গবন্ধু সড়ক, সলিমুল্লাহ রোড, হাবিব সরণীর ও বিতর্কিত মীর জুমলা সড়কের পর এবার হকার উচ্ছেদ হলো ভাষা সৈনিক সড়ক থেকে। উচ্ছেদের আওতায় পড়েছে শহীদ মিনারের পিছনের চা ও জল-খাবারের দোকান সমূহ। এই সড়কে পূর্বেও কয়েক দফা উচ্ছেদ অভিযান চললেও তা ছিলো অনেকটা কানামাছি খেলার মতো। তবে এবার আর তা হচ্ছে না বলে জানান উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়া এক কনস্টেবল। আর নিয়মিত এই অভিযানের মধ্য দিয়েই নিজেদের শক্ত অবস্থানের জানান দিচ্ছে প্রশাসন।
বুধবার ৩ জানুয়ারী দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয় সকাল সাড়ে ১২ টার মধ্যেই। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) জয়নাল আবেদিন।
২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া হকার উচ্ছেদ অভিযান দশম দিনের মতো অব্যাহত আছে। এই নিয়ে শহর হয়ে উঠেছে উত্তপ্ত। হকার ইস্যুতে একই ব্যানারে আন্দোলন করছে আওয়ামীলীগ, সিপিবি, বাসদ ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা। হকারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামিম ওসমান। আন্দোলনকারী হকারদের সঙ্গে একাত্বতা পোষণ করেছেন বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। যদিও পরবর্তিতে ব্যপারটি তার রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজী বলে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
অন্যদিকে হকাররা নিয়মিত ছুটছেন ডিসি-এসপি ও মেয়রের কাছে। অবশেষে ৩ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক হকার নের্তৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে ভোটার আইডিসহ হকারদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছেন তাঁদের কাছে।