আড়াইহাজারে মুচলেকা দিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতার মুক্তি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : আড়াইহাজারে শিক্ষার্থীদের ইভটিজিংয়ের অভিযোগে একাদশ শ্রেণির ছাত্র দিদারকে আটক করে গোপালদী পুলিশ । তাকে ছাড়িয়ে নিতে গোপালদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে নেতাকর্মী নিয়ে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা এ হামলার নেতৃত্বে দেন। হামলায় পুলিশের একজন এটিএএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার নজরুল ইসলাম বাবু কলেজ, সদাসদী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও গোপালদী ফাজিল মাদ্রাসা একই স্থানে অবস্থিত। ওই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বখাটেদের দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আসছে। গোপালদী তদন্ত কেন্দ্র থেকে একটি টীম প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টহল দিয়ে থাকে। বুধবার দুপুরে গোপালদী নজরুল ইসলাম বাবু কলেজে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী দিদারসহবেশ কিছু ছাত্র রাস্তায় চলাচলকারী ছাত্রীদের উত্তক্ত্য করছে এই সংবাদের প্রেক্ষিতে তদন্ত কেন্দ্রের এটিএস আই মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে দিদারকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।

তার আটকের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রে প্রবেশ করেই তদন্ত কেন্দ্রের এটিএসআই মামুনের কাছ থেকে দিদারকে আটকের কারণ জানতে চায় ছাত্রলীগ নেতা সুজয়। উভয়ের মধ্যে এনিয়ে বাকবিতন্ডা এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা সুজয় এটিএএসআই মামুনের নাকে ঘুষি মেরে থেতলে দেয়। তার আঘাতে দারোগা মামুন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ফাঁড়ির মুন্সী আবুল বাশার ও কনস্টেবল ইমরান এগিয়ে আসলে ওই সংঘবদ্ধ দলটি তাদেরকেও বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে এবং ছাত্রলীগ নেতা সুজয়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, একটি ভুল বুঝাবুঝির কারনে দিদার ও সুজয় সাহাকে পুলিশ আটক করেছিল। পরবর্তীতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ আপন জানান, দিদার তার ব্যবহারিক খাতা কেনার জন্য লাইব্রেরীতে যাচ্ছিল। পুলিশ তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গোপালদী ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এনিয়ে সুজয় সাহার সাথে পুলিশের কথাকাটাকাটি হয়। তেমন অপ্রিতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন অর রশীদ জানান, পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ নেতা সুজয় সাহার সাথে ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে তা মীমাংসা করা হয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত