নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : আড়াইহাজারে মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যাত্রীবাহি একটি মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এ সময় চালকসহ আহত হয়েছেন অন্তত চারজন। এরা হলো চালক স্থানীয় বালিয়াপাড়া এলাকার হামিদের ছেলে রবিন, যাত্রী উদয়দী এলাকার লোকমান হোসেন, তার বোন মাহমুদা ও জামায়াতা। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হাইজাদী ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেনকে এ ঘটনায় দায়ি করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
গাড়ীর মালিক বিল্পব বলেন, ঢাকা-মেট্রো-চ-১৯-৫৩৬৪ নাম্বারের হাইয়েস গাড়ীটি যাত্রী নিয়ে শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। স্থানীয় উদয়দী বাজারে পৌঁছলে একদল লোক হামলা চালায়।
তিনি অভিযোগ করেন, আমি জুনায়েদ ভূঁইয়া প্রিন্সের সঙ্গে রাজনীতি করি। হামলাকারীরা তার প্রতিপক্ষ হাইজাদী ইউপির চেয়ারম্যান আলী হোসেনের লোক। তার হুকুমেই আমার গাড়ীতে তারা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় চালকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
অপরদিকে হাইজাদী ইউপির চেয়ারম্যানপ্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া ছেলে জুনায়েদ ভূঁইয়া প্রিন্স বলেন, গাড়ীর মালিক বিল্পব আমার সাথে রাজনীতি করছে। এ কারণেই আধিপত্য বিস্তার করতে আলী হোসেন চেয়ারম্যানের লোকজন তার হুকুমে গাড়ীতে হামলা চালায়।
এদিকে ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, জালালের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১১জন লোক গাড়ীতে হামলা চালায়। স্থানীয় কৃষক আক্তার হোসেন বলেন, স্থানীয় জালাল, নুরজামাল, দানেশসহ কয়েক জন মিলে পাশের চকের একটি পুকুরে মাটির কাটার ড্রেজার বসিয়ে কৃষিজমির ওপর দিয়ে পাশের একটি বাড়িতে বালু বিক্রি করে আসছিল। এতে অনেকেই বাঁধাও দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তারা বাঁধাকে অপেক্ষা করে আসছিলেন। এরই জেরে জুনায়েদ ভূঁইয়া প্রিন্সের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তবে হামলার এই অভিযোগ অস্বীকার নুরজামাল বলেন, আমি বা আমাদের কেউ কারোর ওপর হামলা করেনি। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
হাইজাদী ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন বলেন, আমার সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমি কারোর ওপর হামলা করার জন্য কাউকেই হুকুম দেয়নি। যদি কেউ হামলা করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
আড়াইহাজার থানার ওসি তদন্ত আমীর হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। মাটি কাটার ড্রেজার নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই গাড়ীতে হামলা চালানো হয়েছে। একাংশের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।