আলীরটেকে উত্তেজনা, মিম্বর কেন ভাঙলো ?

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : সম্প্রতি সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নে ঈদের জামাত আদায় করা একটি মাঠকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিতর্কে সকলের অভিযোগের তীর এখন সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের দিকে। আর এ নিয়ে সে মাঠে চারপাশে থাকা সকল স্থাপনা সহ মিম্বর ভাঙ্গা নিয়ে এবার প্রশ্ন তোলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ম্ক্তুারকান্দি আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সমাজ সেবক মো. আক্তারুজ্জামান।

শনিবার (১৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি জানান, আমি আলীরটেক ডিক্রিরচর এলাকার বাসিন্দা। ২০০৯ সাল থেকেই ডিক্রিরচর বাজার সংলগ্ন মাঠে আমরা ঈদের নামাজ পড়ছি। আমরা এখানকার অধিকাংশ মানুষই এটাকে ঈদগাহ হিসেবেই চিনি। পত্র-পত্রিকা এবং আমার গ্রামের সেই ঈদগাহের র্বতমান অবস্থা দেখে আমি খুবই মর্মাহত। পুরো মাঠে থাকা স্থাপনাসহ ইমামের বয়ান করা ও নামাজের স্থানের সেই মিম্বরটিকেও ভেঙ্গে উপড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। খোলামেলা সেই ঈদগাহের মাঠটি এখন দেখলে মনে হয় কারো প্রতিহিংসার অগ্নি শিখা জ্বলছে। এ যেন কোন ধ্বংস বিদ্ধস্ত এলাকা।

সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে ঘটনার বিবরণে আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই, প্রতিবারের মত সেই ২০১৭ সালে ঈদের নামাজ আদায় করতে ওই ঈদগাহ মাঠে গিয়েছিলাম। তখন ঈদের নামাজের আগে সকল মুসুল্লিদের দাবীর প্রেক্ষিতে পীর সাহেব হুজুর আমাকে অনুরোধ করেছিলেন যেন এখানে নামাজের জন্য ভালো একটি মিম্বরের ব্যবস্থা করা হয়। আমি যেন সেটা স্থাপন করে দেই। আমি সে কথা মত ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে অত্যাধুনিক ডিজাইন করে মিম্বর বানিয়ে দিয়েছিলাম। এখন জানতে পারলাম এটি মার্কেট করার জন্য নাকি সবকিছু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে আমি স্থানীয় বাসিন্দা এবং মুসুল্লি হিসেবে এটুকুই জানতে চাই। আমার দোষটা কি? আমি কি অন্তত জানার অধিকার রাখিনা। এই গ্রামের সকলেই জানে ওইটার দাতা ছিলাম আমি। একজন মুসলমান হয়ে মিম্বরটিকে সম্মানজনকভাবে প্রতিস্থাপন করা যেত। আর আমি তো নিস্বার্থে দান করেছিলাম। আমাকে বললে আমি নিজেই না হয় প্রতিস্থাপন করে দিতাম। এটা কি মানব সেবার পুরস্কার?

add-content

আরও খবর

পঠিত