নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি ) : জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের কর্মকর্তার সাথে বাক যুদ্ধে জড়ালেন শ্রমিক নেতা শাহাদাত হোসেন সেন্টু। রবিবার (৭ আগস্ট) দুুপুরে ফতুল্লা থানাধীণ আলীগঞ্জ এলাকায় মেসার্স জননী ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কিছু সময় তাদের মধ্যে বাক যুদ্ধ হয়।
জানা গেছে, ৭ আগস্ট রবিবার বিভিন্ন জ্বালানি তেলের স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান। অভিযানকালে আলীগঞ্জের জননী ফিলিং স্টেশনে ৫ লিটার ডিজেলে ২৩০ মিলি লিটার কম দিয়ে প্রতারণা করে প্রতিষ্ঠানটি। যার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৭ ও ৪৮ পৃথক ধারায় ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে চলে আসেন শাহাদাত হোসেন সেন্টু। এরপরই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ নিয়ে শুরু করে কথা কাটাকাটি। শ্রমিক নেতা সেন্টু সেই কর্মকর্তাকে বলেন, আইন বিধি কি সব জায়গায় মানে। এমন সব জায়গায়ই কম দেয়। এটা কিন্তু অলিখিতই। যারা তেলের পাম্প চালায় করে। আমরাও পাম্প থেকে গাড়ির তেল নেই। আমাদেরকেও শতকরা দুই কিংবা তিন লিটার কম দেয়।
তারপর বিষয়টি নিয়ে বির্তক চলতে থাকলে সেই কর্মকর্তা সেলিমুজ্জামান বলেন, কোথায় যদি এমন কোন আইন থাকে দেখান। আমি তো আইন অনুযায়ী কাজ করছি। ভোক্তা অধিকার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের নির্দেশে সবখানেই অভিযান চলছে। আমি এসে পেয়েছি ৫ লিটারে ২৩০ মিলি লিটার তেল কম দিয়েছে। যা ঠিক নয়। এভাবে ৫ জনকে দিলেই প্রায় ১ লিটারের মত তেল গ্রাহককে না দিয়ে ঠকানো হয়। যার বর্তমান মূল্য আসবে ১১৪ টাকা।
প্রসঙ্গত, শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশের একনিষ্ট কর্মী হিসেবেই পরিচিত শাহাদাত হোসেন সেন্টু। তিনি ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্ট ওয়াকার্সের সভাপতি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা লবন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনেও জড়িত রয়েছে।