নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আলোচিত আলমগীর হোসেন নামে এক ইটভাটা শ্রমিককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনার মামলায় প্রধান দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১১। আজ ১লা এপ্রিল শুক্রবার ভোরে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পরে বেলা ১১ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব ১১ সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা। গ্রেফতারকৃ দুই প্রধান আসামীরা হলেন : ওমর ফারুক ও হাজী আব্দুল আলী। সম্পর্কে তারা শ্যালক ও দুলাভাই। তারা মালিকানাধীন ইটভাটাতেই নিহত আলমগীর লোড-আনলোডের কাজ করতেন।
এদিকে, এরআগে গত ২১শে মার্চ সোমবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে অত্যন্ত নৃশংস ভাবে আলমগীর হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৭০, তারিখ-২৩/০৩/২০২২ইং, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ভিডিও চিত্র মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। তাছাড়া এই ঘটনা স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশিত হয় ও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেন (৩৪) গ্রেফতারকৃত আসামী হাজী আব্দুল আলীর তিশা ব্রিক ফিল্ড ও ওমর ফারুক এর মারুফা ব্রিক ফিল্ডে লোড আনলোডের কাজ করতেন। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে গত ২১শে মার্চ গ্রেফতারকৃত আসামীরা সহ আরো ৩০/৩৫ জন নিহত আলমগীরকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হাত-পা-দাঁত ভেঙ্গে দেয় ও ধারালো চাকু দ্বারা আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন।
পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় পুলিশ কর্তৃক ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে ভিকটিম সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।