নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ : আমি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত,স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব এবং কুতুবপুরের কুতুব শাহ। নিজকে এমন ভাবেই নয়া পরিচয় দিলেন কুতুবপুর ইউপি নির্বাচনে সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। আওয়ামীলীগে যোগদান প্রসংগে এমনই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১৪ বছর যাবত আমি কুতুবপুরে স্বতন্ত্র হিসেবে আছি। বিএনপি আমাকে সমর্থন দেয়নি। কুতুবপুরের দল মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগনের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। পর পর তিনবার তারা আমাকে জনসেবা করার সুযোগ দিয়েছে। এমপি শামীম ওসমানের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কুতুবপুরে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এমপি সাহেব। ওনার কাছে আমি চিরঋণী। ওনি জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বস্তবায়ন করেছেন। কুতুবপুরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগন আগামী ৫ বছরের জন্য আমাকে ২৩ এপ্রিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেছে। আমি কুতুবপরের কুতুব শাহ , স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব।
বিএনপি থেকে বহিষ্কার এবং আওয়ামীলীগে যোগদানের বিষয়টি প্রসংগে মন্তব্য না করে সেন্টু বলেন, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এবং তিন বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়াটা বাংলাদেশের একটি ইতিহাস। যা অন্য কেউ হতে পারেনি। আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে এবং কুতুপবপুরবাসীর অকৃত্রিম ভালবাসায় এবারও আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।কুতুবপুরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমি এখন কুতুবপুরবাসীর “কুতুব শাহ”।
উল্লেখ্য, সরকারী দলের সাথে আতাঁতের অভিযোগ এবং দলীয় প্রতিকে না নেয়ায় প্রথমে সেন্টু কে দল থেকে অব্যাহতি দেয় জেলা বিএনপি সভাপতি তৈতুর আলম খন্দকার। পরে নির্বাচনের আগের দিন কেন্দ্রিয় বিএনপি তাকে দলের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করে চিঠি দেয়।এতে এলাকায় সেন্টুর প্রতি জনগনের সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়। নির্বাচনে ৪২ হাজার ৯০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন সেন্টু। তিনবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিন বারই আনারস প্রতিক পান তিনি।