নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমার মনে হয় আমি আমার কথার ৭০ থেকে ৮০ ভাগই রেখেছি। মানুষের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল রাস্তা ও ড্রেন। সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে কিন্তু রাস্তা ড্রেন কিছুই ছিল না। তাই সাধারণ মানুষের এই চাহিদাটা সবচেয়ে বেশি ছিল। আমার মনে হয় রাস্তা ও ড্রেনের ক্ষেত্রে আমি আমার কথা রেখেছি। এখন যে চাহিদা সেটা হল খাল খনন, খেলার মাঠ, পার্ক করে দেয়া। সেটা নিয়ে এখন আমি কাজ করছি। এই ওয়ার্ডে পানির কোনো ব্যবস্থা নাই, মানুষ ডিপ টিউবওয়েলের পানি খায়। তাদের আরেকটা দাবি ওয়াসা যেটা এখন নারায়ণগঞ্জ ওয়াসা। কথা বললে আরও চাহিদা বোঝা যাবে। এগুলোই মূল কাজ। আমার প্রতিশ্রুতি হল আগের চলমান কাজগুলো সম্পন্ন করা। ৫ই জানুয়ারি বুধবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ২৭ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নেমে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো জায়গায় শতভাগ বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত হচ্ছে বলেন তো? নির্বাচন এসেছে বলে আপনারা নারায়ণগঞ্জকে টার্গেট করছেন। বাংলাদেশের কোথাও কি বর্জ্য পুরোপুরি অপসারণ হয়। আমরা অপসারণ করতে পারছি ছয়শত টনের মতো। আমাদের সাথে যে চুক্তি হয়েছে পিডিবির সেখানে প্রতিদিন আমাকে ছয়শত টন ময়লা দিতে হবে। তখন তো আমাকে চেয়ে চেয়ে ময়লা আনতে হবে, কিনতে হবে। একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। শহরতো একেবারে নোংরা হয়ে থাকে না।
আইভী বলেন, আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এই অঞ্চলের জন্য আমরা ৭২ একর জায়গা একোয়ার করছি। ইতোমধ্যে সরকার আমাকে টাকা দিয়েছে। জালকুড়িতে আমরা জায়গা একোয়ার করেছি। আমাদের সাথে পিডিবির চুক্তি হয়েছে। সেখানে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে। আমাদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী হয়তো এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করার ব্যবস্থা করবেন।
তিনি আরও বলেন, যখন আমি কাজ করবো পক্ষে বিপক্ষে ভোটাররা বলবেই। তাদের নতুন নতুন চাহিদা আছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, স্থানীয় সরকারের কাজগুলো কখনও সমাপ্ত হয় না। সমাপ্ত হয়ে আবারও শুরু হয়। সুতরাং ভোটাররা বলতেই পারেন। আমরা ২৭টি ওয়ার্ডে যেভাবে কাজ করেছি। আপনারা হাঁটলে দেখতে পারবেন। আমার মনে হয় না সেরকম মেজর কোনো কাজ বাকি আছে। আমি যেগুলো বলছি সেই কাজগুলোই বাকি আছে। তারপরেও নতুন নতুন চাহিদা অনুযায়ী কাজগুলো করে দিব।