নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেছেন, আমাদের আর ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিবেন না। যে মামলায় আমাদের নেত্রী আজ কারাগারে সেই মামলায় আরও অনেক আগেই জামিন হওয়ার কথা। আপনারা বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করে সেটাতে বাধাঁ সৃষ্টি করছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের পশ্চিম পাশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২১ মাস ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি। দেশে যদি সুশাসন ও ন্যায় বিচার থাকতো তাহলে গণতন্ত্রের মাতাকে আজ কারাগারে থাকতে হতো না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে গনতন্ত্র আজ কারাগারে।
আমাদের নেত্রী যখন কারাগারে যান তখন আমাদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন কারো প্ররোচনায় পরে আমরা যেন হিংসমূলক রাজনীতিতে জড়িয়ে না পরি। তার সেই নির্দেশ মোতাবেকই আমরা গণতান্ত্রিক উপায় তার মুক্তির আন্দোলন করে যাচ্ছি।
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম বলেন, আমাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে সরকার টালবাহানা শুরু করেছে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।
সরকার তাদের সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতেই বিরোধী দল ও মতকে দমন করার চেষ্টা করছে। এভাবে আর চলতে পারে না। যে দেশে প্রতি নিয়তই দ্র্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, মানুষের বাকস্বধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার উদ্দেশ্য আজ বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারকে আহবান করবো এখনও সময় আছে দেশ ও জনগনের জন্য রাজনীতি করুন।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এ বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিন, রফিক আহমেদ, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, হাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আওলাদ হোসেন, কোষাধক্ষ সোলেইমান সরকার, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।