নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : স্বার্থনেষী মহলের মিথ্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ গং। দীর্ঘদিন যাবৎ বন্দরের একটি অসাধু একটি কুচক্রি মহল ছাত্রনেতা খান মাসুদের তিল তিল করে গড়ে তোলা রাজনৈতিক সংগঠনটি ধ্বংস করার উদ্দ্যেশে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে এসব মামলা দায়ের করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বন্দরের ছাত্রনেতা খান মাসুদ বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে তার সহযোগি নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে আসছিল এমত অবস্থায় বন্দরের কতিপয় নামধারী আওয়ামীলীগ ও জাপার নেতা সহ একটি অসাধু কুচক্রি মহল তার রাজনৈতিক পথ প্রতিরোধ করার জন্য আদা জল খেয়ে মাঠে নামে। এই কুচক্রি মহলটি খান মাসুদ ও তার সহযোগি কর্মীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ ও জাপার শীর্ষ নেতাদের কাছে একাধিক মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে ধারস্থ হয়। সচেতন নেতারা এসব মিথ্যা অভিযোগ আমলে না নেয়ায়, কুচক্রি মহলটি নিজেদের সার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়। এরপর থেকেই এই মহলটি অর্থের বিনিময় আরো সুসংঘঠিত হয়ে নানা কৌশলে বন্দর থানা সহ বিভিন্ন থানার পুলিশকে উৎকোচের মাধ্যমে ম্যানেজ করে মিথ্যা মামালা দায়ের করে হয়রানি করার পথ বেছে নিয়েছে।
গত বছর ২০১৫ সালে মেসার্স বন্দর ডকইয়ার্ডের মালিক আবুল কালাম বাসু সাউদা ডকইয়ার্ডের মালিক কাজি জহির ও তার বড়ভাই কাজি সহিদ মিলে রাজু নামের খান মাসুদের এক কর্মীকে একা পেয়ে তাদের ডকইয়ার্ডে আটক করে বেধম প্রহার করে। এ সময় খান মাসুদ তার এক অসুস্থ্য স্বজনকে নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে অবস্থান করছিল। ঐ অসাধু কুচক্রি মহলটির হাতে নির্যাতিত রাজু আহত হয়েছে এ খবর পেয়ে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে পৌছে প্রতিবাদ করলে কুচক্রি মহলের হোতা কাজি সহিদ, আবুল কালাম বাসু, কাজি জহির প্রতিবদীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেলের নিক্ষেপের কুচক্রি মহলের পালিত ক্যাডার একাধীক মামলার আসামি সেলিম আহত হয়। এ সময় খবর পেয়ে বন্দর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার টের পেয়ে কুচক্রি মহলের এক সদস্য জামান মামলার আসামি সেলিমকে চিকিৎসার নাম দিয়ে অন্যাত্রে সরিয়ে ফেলে। কিন্তু পুলিশের চোখে ফাঁকি দিলেও একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী সেলিমের ঘটনাটি আড়াল করতে পারেনি স্থানীয় সাংবাদিকদের নজর থেকে। সেলিমকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের ধারনকৃত ছবি স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছিল।
এদিকে নিজেদের কুকৃত্তি ডাকার জন্য মেসার্স বন্দর ডকইয়ার্ডের মালিক বাসু বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এঘটনায় আহত রাজুর পক্ষনিয়ে বন্দরের শরিফ হাসান চিশতি বাদি হয়ে বাসু গংয়ের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। বাসুর দায়ের কৃত মিথ্যা মামলাটি কোন সাক্ষি সাক্ষ্য যোগার করতে না পেরে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সরনাপন্ন হয়ে উভয় পক্ষের মামলাটি আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে নিস্পত্তি করেন। মামলাটি নিস্পত্তি করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি ঐ কুচক্রি মহলটি। এরা ছাত্রনেতা খান মাসুদ ও তার কর্মীদের প্রতিহত করে নিজেদের ফয়দা হাসিলের চেষ্টা চালায়। এরপর থেকে বন্দর থানা পুলিশকে মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে আতাঁত করে খান মাসুদ ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। বন্দর থানার অসাধু পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাই না করে এসব মিথ্যা মামলা লুফে নিচ্ছে। কুচক্রি মহলের দায়ের কৃত এসব মিথ্যা মামলার প্রতিকার চেয়ে নারায়ণঞ্জের আওয়ামীলীগ ও জাপার সংশ্লীষ্ট নেতৃবৃন্দ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শান্তি প্রিয় বন্দরবাসী।