নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে । নিজ অফিসে এক নারী অফিস সহায়কের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৫ আগস্ট রবিবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে আহমেদ কবীরের বিষয়ে। এর আগে ২৪ আগস্ট শনিবার এমন ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে।
ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, জামালপুরের ডিসি সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রাথমিক মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেবে সে ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) গাফফার খান বলেন, অভিযোগটির বিষয়ে আগামীকাল (আজ রবিবার) পদক্ষেপ নেওয়া হবে, অপেক্ষা করুন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্র শনিবার জানিয়েছিল, জামালপুরের ডিসির বিরুদ্ধে অভিযোগটির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মন্ত্রিপরিষদকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ প্রতিবেদককে জানায়, গত বছরের নভেম্বরে এক নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে যৌন হয়রানির অভিযোগে নাটোরের ডিসি মুহম্মদ গোলামুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। জামালপুরের ডিসির ঘটনা এর চেয়েও মারাত্মক। তাই তাঁকে শুধু প্রত্যাহার নয়, সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে ওই ভিডিওতে আধুনিক প্রযুক্তির কোনো কারসাজি আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ধীরে সুস্থে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দুই দিন ধরে জামালপুরের ডিসির সঙ্গে এক নারীর যৌন সম্পর্কের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তাঁর অফিসের এক নারী কর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টিকে সাজানো দাবি করেন জেলা প্রশাসক। এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করতেও অনুরোধ জানিয়েছিলেন আহমেদ কবীর।