আন্দোলন আর ট্রাফিক সপ্তাহের প্রভাব গণপরিবহনে

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর পুলিশের ট্রাফিক সপ্তাহের প্রভাব পড়েছে নারায়ণগঞ্জের গণপরিবহনে। যানবাহনের ফিটনেস আর কাগজপত্র নবায়নে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চালক-মালিকরা। এতে করে নারায়ণগঞ্জে টার্মিনালে দেখা দিয়েছে লাইন্সেস ধারী চালক সংকট। ফলে সড়কে লাইসেন্সধারী চালকের সল্প যানবাহন চলতে দেখা দিয়েছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে হাজারো যাত্রী সাধারণের।

সরেজমিনে দেখা যায়, ৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে নগরীর বাস ট্রামিনালে গণপরিবহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ৩‘শতাধিক যাত্রী। এসময় কয়েকটি পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাস ব্যবস্থা করতে না পেয়ে বিক্রয়কৃত টিকেট ফেরতও নিয়েছেন। কারণ সারিসারি পরিবহন থাকলেও ছিল না লাইসেন্সধারী চালক। এর আগে লাইন্সেস না থাকায় নারায়ণগঞ্জের ২ শতাধিক পরিবহনের চাবি নিয়ে ছিলেন নগরীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর পুলিশের ট্রাফিক সপ্তাহের প্রভাব পড়েছে কাউন্টারগুলোতে। ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের ফিটনেসসহ প্রয়োজনিয় কাগজপত্র না থাকায় বন্ধু পরিবহনের ৩৪টি বাসের মধ্যে ১২টি বাস সড়কে চলছে। উৎসব ৫০ টির মধ্যে ২০ টি, বন্ধন ৪৯টির মধ্যে ৩৫ টি ও আনন্দ বাস মাত্র ৫টি চলছে।

এদিকে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাস না চলাচল করলে, কাউন্টার খোলা রেখেছে কেন? আর টিকিটই বা বিক্রি করলো কেন? এতোদিন কি তাহলে সব লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক দিয়েই আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলো। আমাদের জীবন কি মূল্যহীন।

অন্যদিকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করেও কাঙ্খিত গাড়ির দেখা পাচ্ছে না নিতাইগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, পার্টিকে কথা দিয়েছিলাম ১টার মধ্যে চলে আসবো। কিন্তু এখানে যানবাহনের যে অবস্থা বাস ছাড়াও অন্যান্য যানবাহন ও তুলনামূলক অনেক কম। যেকারণে চালকরা লুফে নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম তিন দিনেই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে নারায়ণগঞ্জের মোট ২ হাজারের অধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাফিক বিভাগে মামলা হয়েছে ৬৪৩টি। বাকি মামলা গুলো করেছে জেলা পুলিশ।

ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে ট্রাফিক বিভাগের পাশাপাশি নগরীর সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় ৮টি সহ জেলার অন্যান্য থানায় চেকপোস্ট থেকে আরো ৫ শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবহনগুলোর একাধিক চালক জানান, অনেক পরিবহনেরই  ফিটনেসসহ প্রয়োজনিয় কাগজপত্র নেই। অধিকাংশ চালকের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। তাই ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের ফিটনেস আর কাগজপত্র নবায়নে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন চালক-মালিকরা।

add-content

আরও খবর

পঠিত