নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের পরিচয়ে পাচঁলক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে সালাউদ্দিন রানা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আর সেই চাঁদা নিতে এসে হাতেনাতে তাকে ধরে পুলিশে দেয়া হলেও পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আলীরটেক ১নং ওর্য়াড ইউনিয়ন মেম্বার দিদার হোসেন। সোমবার (১০ আগষ্ট) রাত ১১টার দিকে শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছিল সালাউদ্দিন রানাকে।
তবে এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কথা হলে সদর মডেল থানা ওসি মো. আসাদুজ্জামান এ ঘটনায় কাউকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়নি, এমনটি সাফ জানিয়ে অস্বিকার করে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করেন। পরে সালাউদ্দিন রানার বিরুদ্ধে থানায় রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছে ভুক্তভোগী, যা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে এমনটা বললে, চাষাড়া থেকে নিয়ে আসা অভিযুক্ত যুবক সালাউদ্দিন রানা মূল হোতা নয় বলে জানান ওসি আসাদুজ্জামান।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উল্লেখিত অজ্ঞাত মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে আমরা মূল হোতাকে ধরার চেষ্টা করছি। যাকে থানায় আনা হয়েছিল সে অভিযোগকারীর সাথে মামা ভাগিনা সম্পর্ক রয়েছে। তাই রানাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এখন মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে প্রকৃত অপরাধীকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্থানীয় মেম্বার দিদার জানান, আমার সাথে ওর (সালাউদ্দিন রানা) কিসের মামা-ভাগ্নে সম্পর্ক! এটা সত্যি নয়। আমার কাছ থেকে আজমেরী ওসমান ভাইকে দিবে বলে দাবীকৃত চাঁদার টাকা নিতে আসছিলো। আমি পুলিশকে খবর দিয়ে তার সাথে থাকা মোবাইল, বাইক সহ সবকিছু থানার কর্মর্কতার কাছে তুলে বুঝিয়ে দেই। পরে আমি হার্টের রোগী হওয়া সত্ত্বেও শারিরিক অসুস্থতা নিয়ে রাতেই রানার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগের কপি জমা দিয়ে চলে আসি। কিন্তু নতুন করে অভিযোগ এনে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। ওরে জিজ্ঞাসবাদ করলেই অনেক কিছু বের হতো। কিন্তু সে যাদের পরিচয় দেয় সেই নেতার সুপারিশে হয়তো সে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে গেল।
এদিকে ছেড়ে দেয়ার বিষয় জানতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে নিয়ে আসা এসআই নুরুজ্জমানের সাথে কথা হলে তিনিও নরম সুরে জানান, নিয়ে এসেছিলাম। তবে দুইজনকে নিয়ে বসা হয়েছিল, যে নাম্বার থেকে কল দেয়া হয়েছে তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও অভিযুক্ত রানার সাথে চাঁদাবাজির সংষিøষ্টতা নিয়ে আপনারা তদন্ত কিংবা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কিনা এবিষয়ে কোন উত্তর দেননি তিনি।
অন্যদিকে সূত্রে জানা গেছে, সালাউদ্দিন রানা সিংগাপুর প্রবাসী। সেখানে থাকাকালীন নারায়ণগঞ্জের আগত নেতাকর্মীদের বিশেষ সেবায় নিয়োজিত থাকতেন তিনি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন যাবত বিদেশ ফেরত হয়ে সে নারায়ণগঞ্জ জেলার আলীরটেক ইউনিয়নের মোক্তারকান্দা এলাকায় বসবাস করছে। এখানে এসেও নিজ সুবিধা ভোগ করতে সরকার দলীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে শখ্যতা বজায় রেখেছে। আর তাদের নাম ব্যবহার করে স্থানীয়দের কাছে নিজের অবস্থান জাহির করতে পঞ্চমুখ তিনি। ঘটনার রাতেই তাকে থানায় নিয়ে আসার পর থেকে তদবীর করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রভাবশালী মহল।