আগামী ৩০ জুন ড.করুণাময় গোস্বামীর স্মরণসভা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : দেশবরেণ্যে শিক্ষাবিদ বিশিষ্ট লেখক, রবীন্দ্র-নজরুল গবেষক এবং সংগীত বিশেষজ্ঞ ড.করুণাময় গোস্বামী’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করেছে ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ ।

আগামী ৩০ জুন (শনিবার) বিকাল ৪ টায় ঢাকা বাংলা একাডেমী, আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ অডিটোরিয়ামে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতিমান বিশিষ্টজনরা উপস্থিতিতে ড. করুণাময় গোস্বামী রির্সাচ একাডেমির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

অনুষ্ঠানে ড. করুণাময় গোস্বামী রির্সাচ একাডেমীর সভাপতি এবং বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান লায়ন এম. কে. বাশার পিএমজেএফ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- ঢাকা নজরুল ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, গবেষক লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রস্টি মফিদুল হকসহ দেশের খ্যাতিমান বিশিষ্টজনরা ।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৩ সালের ১১ মার্চ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গোঁসাই চান্দুরা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন ড. করুণাময় গোস্বামী । বাবা রাসবিহারী গোস্বামী ও মা জ্যোৎস্না রানী দেবীর প্রথম সন্তান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে এমএ পাস করে সেই ১৯৬৪ সালেই যোগ দেন নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজে। মাঝে সাময়িক বদলি ছাড়া প্রায় চার দশক ধরে এখানেই অধ্যাপনা করেছেন।

তাঁর সহধর্মিণী শিপ্রা রানী দেবী দর্শনের অধ্যাপক। বড় সন্তান সায়ন্তন গোস্বামী একজন প্রকৌশলী, কানাডায় স্বপরিবারে প্রবাসী। ছোট সন্তান তিথি গোস্বামী স্বপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী।

ড.করুণাময় গোস্বামী ছিলেন একজন প্রাণবন্ত, সদা কর্মব্যস্ত ও চিরসবুজ মানুষ। ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হয়েও তাঁর কর্মপরিধির বিস্তার একাধারে বিস্ময়কর ও ঈর্ষণীয়। সংগীতজগতের গভীরে ডুব দিয়েছেন তিনি। তালিম নিয়েছেন উচ্চাঙ্গসংগীতের।

দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রস্তুত করেছেন সংগীত কোষ। কাজ অর্ধেক হওয়ার পর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর যাবতীয় বইপত্র ও পান্ডুলিপি লুটপাট ও ধ্বংস হয়ে যায়। যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশে নতুন উদ্যমে শূন্য থেকে কাজ শুরু করেন তিনি। তাঁর অসীম ধৈর্যের কারণে সংগীত কোষ আলোর মুখ দেখে ১৯৮৫ সালে।

তিনি ২০০৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক লাভ করেন।

এই মহান ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৭ সালের ৩০ শে জুন দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় পরলোক গমন করেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত