আই এম নট দ্যা এ্যানিমেল অব চিড়িয়াখানা : জাপা নেতা এড. মজিদ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপার্টার ) : আপনার স্ত্রী কর্তৃক একজন শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ শুনতে পেয়েছি এ ঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করতে আপনাদের মন্তব্য জানতে চাচ্ছি। এমনকি আপনিও ঘটনাস্থলে ছিলেন প্রতিউত্তরে তিনি সাংবাদিককে বলেন, ঘটনা যেখানে শুনেছেন সেখানে যান, এখানে কি। মামলা হয়েছে, ইউ গো টু কেইস, ইফ ইউ লাইক টু নোউ এনিথিং, গো টু কোর্ট। আই এম নট দ্যা এ্যানিমেল অব চিড়িয়াখানা (আমি চিড়িয়াখানার পশু না)! পুলিশ ইজ হেয়ার।

শিক্ষিকা লাঞ্চনা ঘটনায় অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড. মজিদ খোন্দকার সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে এসব কথা বলেন। এর উত্তরে সাংবাদিক বলেন, এটাকে চিড়িয়াখানা বললো কে? এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে আপনি আমাকে জানাতে পারেন কিন্তু উত্তেজিত হচ্ছেন কেন।

এসময় তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক জগতের পথিকৃৎ। সাংবাদিক জন্ম দেই, আমি এখনও একটা পত্রিকার সম্পাদক।

এরপর প্রতিবেদক আবারো এড. মজিদ খোন্দকারকে বুঝিয়ে প্রশ্নের জবাবটুকু চাইলে তিনি বলেন, শুধু এটুকু জানো কেউ মারেনি। এগুলি মিথ্যা। তার গায়ে একটা টাচও হয় নি। ইট ইজ ক্রিমিনোলজি। তোমরা কি মনে করো! আমি চল্লিশ দিন আগে হজ্ব করে এসেছি, আমি কি মেয়ে মানুষের গায়ে হাত ওঠাবো? আমার স্ত্রী ওপেন হার্টেড। ছয় মাস ধরে সেন্সেটিভ পিরিয়ডে। সে কি কারোর গায়ে হাত তুলতে পারে? আমার নাতি টাকে পড়াতে চেয়েছি।

পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তবে তিনি পুলিশের গাড়িতে না উঠে, নিজের গাড়িতে চড়েই থানায় যান।

লাঞ্ছিত শিক্ষিকা শাহিনুর পারভিন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী বাসিন্দা জাতীয় পার্টির নেতা ও আইনজীবি আবদুল মজিদ খোন্দকার রোববার রাত সাড়ে ৭টায় দিকে তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় এসে তাদের নাতীকে বাসায় গিয়ে পড়ানোর প্রস্তাব দেন। দীর্ঘ ছয় মাস যাবত কিডনীজনিত রোগে অসুস্থতার কারণে তাদের এ প্রস্তাবে আমি রাজি হয়নি।

একারনে আইনজীবি ও তার স্ত্রী প্রথমে তাকে মৌখিকভাবে হুমকি দেন এবং এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নাবালক ছেলে-মেয়ে ও স্বজনদের সামনেই আমাকে মারধর করে। আবদুল মজিদ খোন্দকার এর স্ত্রী রোকেয়া খোন্দকার পায়ের জুতা খুলে জুতাপেটা করে কিন্তু এসময়  মজিদ খোন্দকার দাড়িয়ে থাকে কিন্তু থামানোর চেষ্টাও করেনি।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বললে জান যায়, এড. মজিদ খোন্দকার কখনই মানুষের সাথে ভালো আচরণ করেন না। তিনি একজন আইনজীবী বিধায় সবসময়ই দাম্ভিকতা দেখায়। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে  মারধর করতে উদ্যত হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত