নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আইভীকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়নি বরং নিয়াজুলকেই হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মিছিলে চারপাশে ছিল কারা? সব ছিলো বিএনপির। তাঁরা কাউন্সিলর মানলাম। কিন্তু আওয়ামীলীগের কাউন্সিলররা কই ছিলো? আচ্ছা বাদ দেন তারা যায় নাই। তবে বিএনপির সরকার আলম ওরা কেন গেছে? আরমান হত্যাকারী যে নিয়াজুলরে ধাক্কা দিয়া ফালাইছে। আমি যার ছবিতে দেখছি। আমি তাঁকে চিনি। যে হত্যা মামলার আসামী, আমি তাঁর নাম বলমু না। ২৭ই জানুয়ারী শনিবার ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সংঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জোড়াখুনের আসামীরা সব ওইখানে আইসা কারে মারলো যার ভাইকে বিএনপির সময় হত্যা করল। বেধরড়ক পিটানো হইলো। আপনারা ফুটেজে দেখবেন। একবার না তিনবার করে মারলো। কিন্তু আইভী কী বলল আমি নাকি নিয়াজুলকে পাঠাইছি আইভীকে মারতে। কেন? আমার আর লোক নাই আমার কী একটাই লোক ? যে নিয়াজুল মাইর খাইতাছে। নিয়াজুলকে বাঁচানোর জন্য সেখানে একটাও লোক ছিলো না। একবার মারলো দুইবার তিনবার মারলো । চতুর্থবার সে পিস্তল বের করলো। কিন্তু সেখান থেকে একটা ও গুলি বের হয় নাই।
এখন আবার নাটক করে। ফুলের টব থাইকা লাইসেন্স করা পিস্তল বাইর করে। নাটকের জবাব আমি দিতাছি। ফুলের টব থাইকা কীভাবে পিস্তল বাইরো সেইটা বাইর করতে হইবো। এ পিস্তল কারা নিছিলো? লাইন্স করা পিস্তল আমি আত্মরক্ষার জন্য বাইর করুম না। তো আমি কী জন্য রাখমু ,লাইসেন্স দেখানো জন্য? তাইলে তো আমারও লাইসেন্স রাখা দরকার নাই। আমিও আমার লাইসেন্স রাখবো না চিন্তা করছি। লাইসেন্স জমা দিয়া দিব।
শামীম ওসমান বলেন, নিয়াজুলকে বেধরড়ক পিটানো হল। পারসেপসন তৈরী করা হইলো যে নিয়াজুল আইভীকে হত্যা করতে গেছিলো। ছবি কাট করলো নারায়ণগঞ্জের কিছু সাংবাদিক । কাটিং কইরা একটা অংশ প্রচার কইরা দিল। আমি ও কনফিউসড হইয়া গেলাম। পরে নারায়ণগঞ্জের আরো অন্যান্য সাংবাদিকরা আমাকে আসল ফুটেজ দিলো। তখন দেখলাম আসলে ঘটনা এটা নয় ঘটনা ঠিক উল্টা। আইভীকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়নি বরং নিয়াজুলকেই হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড.আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন হাজী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, জাতীয় পার্টির মহানগর শাখার সভাপতি আবুল জাহেরসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা ।