নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : ম্যাডাম ফুলি খ্যাত বাংলা সিনেমার নায়িকা সিমলা। (ম্যাডাম ফুলি) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সেই থেকে (ম্যাডাম ফুলি) নামেই চলচ্চিত্রে পরিচিতি শিমলার।
এক সময়ের আলোচিত এ নায়িকা আলোচনায় নেই বহু দিন। ক্যারিয়ারে ভাটা চলছে প্রায় ১০ বছর হলো। চলচ্চিত্রে কাজ নেই, তাই নেই আলোচনায়ও। তার সর্বশেষ অভিনীত ছবি (নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প)। পরিচালক রুবেল আনুশ। ছবিটির শুটিং নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ায় আলোচনায় ছিলেন কিছু দিন।
এবার আলোচনায়ে এলেন বিয়ের সূত্রে, ভিন্ন ইস্যু নিয়ে। ঢাকা থেকে দুবাইগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ‘ময়ূরপঙ্খী’ ছিনতাই চেষ্টাকারীর নামের সঙ্গে এসেছে তার নাম।
জানা গেছে, ময়ূরপঙ্খী ছিনতাই চেষ্টাকারীর পলাশ আহমেদ। ২৪ বছর বয়সী পলাশের গ্রামের বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার দুধঘাটা গ্রামে।
ঘটনার পর থেকে পলাশের সঙ্গে নায়িকা সিমলার একাধিক ছবি প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে। বলা হয় সিমলা পলাশের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। পাশাপাশি পলাশের পরিবার দাবি করে, পলাশের স্ত্রী ছিলেন সিমলা।
এদিকে সিমলার খোঁজ না থাকায় এ নিয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছিলো না। তবে শেষমেশ সিমলার খোঁজ মিলেছে এবং তিনি পলাশের সঙ্গে নিজের বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গণমাধ্যমে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সিমলা। এ সময় তিনি দাবি করেন, চারমাস আগে তালাক দিয়েছি পলাশকে। তার মানসিক ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলার কারণেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। তার নিজের অভিনীত একটি চলচ্চিত্রের পরিচালকের বাসার একটি অনুষ্ঠানে প্রথম পরিচয়। এরপর তারা সম্পর্কে জড়িয়ে যান। ২০১৮ সালের ৬ মার্চ তাদের বিয়ে হয়। পরে বছরের শেষ দিকে অক্টোবরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
কেন বিবাহ বিচ্ছেদ সে প্রশ্নের জবাবে সিমলা বলেন, কিছু সমস্যা ছিলো বিধায়ই ডিভোর্স হয়েছে। তার মানসিক সমস্যাই এর মূল কারণ। মাহি বি জাহান পলাশকে কবর নামের একটি শর্ট ফিল্মের প্রযোজক হিসেবেই চিনতেন বলে জানান সিমলা।