দালালদের কারনেই বঙ্গবন্ধুর নৌকা রাজাকারারের সন্তানদের হাতে

 নারায়নগঞ্জ বার্তা ২৪ : সোনারগাঁ পৌর সভার নির্বাচনে লড়াই হচ্ছে পাশবিক শক্তির বিরুদ্বে মানবিক শক্তির এই লড়াইয়ে ইনশা আল্লা আমরাই জয়ী হব কারণ আমরা মানবিক শক্তির পক্ষে উল্লেখিত কথাগুলো বলেছেন মেয়রপ্রার্থী সাদেকুর রহমানের পক্ষে উঠান বৈঠকে বক্তারা । শনিবার সোনারগাঁ পৌর সভার দরপদ এলাকায় উঠান বৈঠক সহ চিলারবাগএলাকায় অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব সাদেকুর রহমানের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি আ,ফ,ম,বাহাউল হক,মহিলা সংস্থা সোনারগাঁ শাখার চেয়ারম্যান ডালিয়া লিয়াকত,জেলা জাপার যুগ্ম সম্পাদক আলী হোসেন,সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ার ম্যান কহিনূর ইসলাম রুমা ,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সোনারগাঁ শাখার চেয়ারম্যান জাহানারা আক্তার,অধ্যক্ষ মাহমুদা ইসলাম ফেন্সি,বৈদ্যের বাজার ইউপি সদস্য সুরাইয়া আক্তার ১নং ওয়ার্ডের কমিশনার জসীম উদ্দিন , জাতীয় যুব সংহতির নেতা বুলবুল আহাম্মেদ,যুবলীগ নেতা বদিউজ্জামান বদু,ছাত্রসমাজ নেতা ফজলুল হক মাষ্টার,সহিদ মেম্বার ,জাপা নেতা কিশোর কুমার,আলহাজ্ব জাবেদ প্রধান ,মামুন মিয়া ,জাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ। বক্তাগন আরো বলেন যারা আজ নৌকা প্রতিক নিয়ে লাফালাফি করছে তারা এক সময় তাদের সুবিধা আদায়ে ব্যার্থ হয়ে এই নৌকাতেই আগুন দিয়ে ছিলো।এক শ্রেনীর নব্য দালালদের কারনেই আজ বঙ্গবন্ধুর পবিত্র নৌকা রাজাকারারের সন্তানদের হাতে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সাথে ছল চাতুরি করে নব্য রাজাকাররা নৌকাপ্রতিক তুলে দিয়েছে রাজাকারদের হাতেএতে করে ভূলন্ঠিত হচ্ছে নৌকার সন্মান। যে ব্যাক্তি আজ নৌকারপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে মাঠে নেমেছে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবত্ব সম্পত্তি দখল করেছে আজ যে স্থানে তাদের বাড়ী সেটি এক সময় ছিলো চিতাশাল।
আজ ভোট চাইতে তারা মানুষের কাছে যাচ্ছে অথচ মানুষের ঘরবাড়ী নদীতে বিলিন করার পিছনে যে বালু সন্ত্রাস সেটির মূল নায়কই তারা অতএব মনে রাখবেন  ভোট একটি পবিত্র আমানত এই পবিত্র আমানতটি একজন ভালো মানুষের পক্ষে দিবেন । বক্তাগন আরো বলেন, সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সংগঠণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন মেয়র পদে অপরিচিত মুখ এড. ফজলে রাব্বী পেয়েছেন, যাহার পিতা তমিজ উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার এস.এম সোলায়মানের সকল অপকর্মের ঘনিষ্ঠ সহচর। রাব্বীর পিতা তমিজ উদ্দিন সোনারগাঁও জি.আর. ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন ও আওয়ামীগ নেতা ব্যবসায়ী এমতাজ উদ্দিন হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত এবং ১৯৭২ সনে জনতা ব্যাংক সোনারগাঁও উদ্ধবগঞ্জ বাজার শাখা ডাকাতি মামলায় নয় বছর কারাভোগ করেছেন। সোনারগাঁও পৌরসভায় তাঁদের বর্তমান বসত বাড়ীটিও হিন্দু সম্প্রদায়ের চিতা খোলা জবর দখল করে নির্মিত। তাঁর ছোট ভাই আবু নাঈম ইকবাল কর্তৃক অবৈধ/অব্যাহত ভাবে মেঘনা নদীর কিনার হতে বালু উত্তোলনের কারনে সোনারগাঁয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম আজ নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। গ্রামের অসহায় মানুষগুলো তাঁদের বাপ-দাদার ভিটে-বাড়ী শেষ সম্পদ রক্ষার জন্য আন্দোলন করে আসছেন। মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী, ব্যাংক ডাকাত ও রাজাকারের সন্তান এবং বালু সন্ত্রাসী ইকবালের ভাই এড. ফজলে রাব্বী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠণ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়ায় এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে, তৃণমূল আওয়ামীলীগসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি সাধারণ ভোটাররা হতাশ হয়ে পড়েছে। রাব্বীর পরিবারের সকল অপকর্মের কাহীনি বিভিন্ন জাতীয়/স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ফলাও করে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ হয়ে আসছে। রাজাকারের পুত্রের পক্ষে এলাকার সাধারণ ভোটারদের কাছে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার জন্য ভোট প্রার্থনা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে, এতদকারনে নৌকার প্রার্থী ৩য় অবস্থানে রয়েছে। বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলে সোনারগাঁও পৌরসভায় ধানের শীষ জয়ী হতো বলে সাধারণ জনগন মনে করছেন। সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের সাধারণ কর্মীদের দৃঢ় আত্ম-বিশ্বাস, স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু কণ্যার জ্ঞাতসরে রাজাকার পুত্রের পক্ষে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পাওয়া সম্ভব হতো না। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মেয়র প্রার্থী রাব্বীর পিতার বিতর্কিত কর্মকান্ড স্বাধীনতার স্বপক্ষের ভোটাররা মেনে নিতে পারছেন না। সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠণিক সম্পাদক বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান চারবার আমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে সোনারগাঁও পৌরসভার ২য় নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারনে দলীয় সমর্থণ না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র হন। পৌরসভার তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। আমরা সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের তৃণমূল কর্মীরা আজীবন আওয়ামীলীগ করে আসছি, নৌকা প্রতীককে শ্রদ্ধা করি, মাননীয় সভানেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান দেশরতœ শেখ হাসিনার যে কোন নির্দেশ জীবন দিয়ে হলেও পালন করবো। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ আবু নূর মোহাম্মদ বাহাউল হককে মনোনয়ন দেয়, তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। ওই নির্বাচনে আবুল হাসনাত মনোনয়ন না পেয়ে ছোট ভাই মোশাররফসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকাগুলোতে ভাংচুর চালায় ও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাতে বাঁধা দিয়ে ধানের শিষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করায় ধানের শিষের প্রার্থী রেজাউল করিম জয়ী হন। আমাদের মনে তখন প্রচন্ড আঘাত লাগলেও তাঁর লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর কারনে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হই। সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে রাজাকার পুত্র ফজলে রাব্বী সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু’র ভগ্নীপতি হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠণ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে তৃণমূল আওয়ামীলীগ কর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও হত্যার হুমকী দিয়ে আসছেন। নৌকা আমাদের প্রানের ও মানের প্রতীক। বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী, ব্যাংক ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকারের সন্তান এবং গ্রামখেকো বালু সন্ত্রাসীর ভাই ফজলে রাব্বীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকার মেয়র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ ভোটাররা মেনে নিতে পারছেন না। স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার মান রক্ষার্থে সোনারগাঁও পৌরসভার সাধারণ ভোটাররা আওয়ামীলীগের প্রকৃত নেতা সাদেকুর রহমানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত