ছোট শহরে বড় যানজট !

নারায়ণগঞ্জ বাতা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : শহরের যানজট নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে একাধিকবার যানজট নিরসনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ট্রাফিক পুলিশ, সংসদ সদস্য সহ, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও চেষ্টা করেছেন। তবে সল্প সময়ে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও আবারো একই চিত্র পরিণত হয়ে যায়। যার কারণে সকলেই যেন ব্যথর্তা মেনে নিয়েছেন। ফলে নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহনের চাষাঢ়াকে ঘিরে ছোট শহরে বড় যানজট নগরবাসীর জন্য হতাশা।

সম্প্রতি লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর কঠোর নির্দেশ থাকলেও তা উপেক্ষিত। আর তাই এই করোনাকালেও জনজীবন আগের মতই চলছে। গতকাল নগরীর বিভিন্নস্থানে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। যেখানে যানজটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতই। আর এজন্য সাধারণ মানুষ দায়ী করছেন নানা অব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনাকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া সড়কের তিনটি মোড়েই রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড। যাদের যত্রতত্র গাড়ি র্পাকিংয়ে দখল হয়ে আছে সড়কের অনেকাংশ। বিভিন্নসময় সড়কের মাঝেই গাড়ি থামিয়ে তোলা হচ্ছে যাত্রী। ট্রাফিক পুলিশ কিংবা রেকার থাকলেও তার তেমন খুব একটা ব্যবহার নাই বলেও অভিযোগ অনেকের। এমন অবস্থায় পরিবহন সিন্ডিকেটের কাছে যেন অনেকটাই জিম্মি এ শহরের মানুষ। এছাড়াও শহরের মধ্যে অবাধে রয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ব্যাটারী চালিত রিক্সার বিচরণ ও অবৈধ স্ট্যান্ডের ছড়াছড়ি।

শহরে পাশাপাশি দীর্ঘ যানজট দেখা যায় পঞ্চবটি এলাকাতেও। কখনো কখনো এই যানজট এতটাই তীব্র হয় যা শহরেও ব্যপক প্রভাব ফেলে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। যা রাত গড়ালেই তীব্র যানজটে সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে রাতে যখন ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি না থাকে সেই মুর্হুতটায় সড়ক চলে যায় চালক ও গাড়ির দখলে।

সড়কে যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বাস শহরে ঢুকছে, আবার শহর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হচ্ছে। কিন্তু তারা কোন নিয়ম মানছেনা। অনেকগুলোর আবার সড়কে চলাচলেরও নেই কোনো অনুমতি । রয়েছে অবৈধ স্ট্যান্ড, লেগুনার ছড়াছড়ি। সড়কে পার্কিং। পণ্যবাহী বোজাইকৃত ট্রাক চলাচল করে সংস্কারের নামে কোথাও ইট, বালু, সিমেন্ট রেখে দিচ্ছে। আবার সড়কের পাশেই ভারি যানবাহন রেখে গার্মেন্টের মালামাল লোড-আনলোড করা হচ্ছে।

এরআগে, নারায়ণগঞ্জের যানজট সমাধানে অস্থায়ী ছয়টি ও স্থায়ী চারটি প্রস্তাব  দিয়েছিলন সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত তিন দিন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি যানজট নিরসনের দায়িত্ব পালন করে এ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে যানজট নিরসনে মাত্র পাঁচজন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। তাদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের ৫০ জন ট্রেনিংপ্রাপ্ত লোক নিয়োগ দেওয়া, ফুটপাতে বসতে না দেওয়া, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, অবৈধ রিকশা চলাচল বন্ধ, নগরীর প্রধান সড়কের মাঝে রোড ডিভাইডারের আয়তন কমিয়ে আনার দাবি জানান। এজন্য সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হলে যানজটের  সমস্যা আর থাকবে না। কিন্তু এখনো পযর্ন্ত এর বাস্তবায়ন দেখেনি নারায়ণগঞ্জবাসী।

add-content

আরও খবর

পঠিত