নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : বছর ঘুরে ফিরে এলো ঈদ উল আযহা। পশু কোরবানীর মধ্য দিয়ে আত্মত্যাগের শিক্ষা নিয়ে দিনটি পালন করেন মুসলিম উম্মাহ। পশু কোরবানির সঙ্গে কোরবানি হোক মনের পশু, এমনটাই আকাঙ্খা করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য, পশু জবেহ করার পর বর্জ্য অপসারণে নিরুৎসাহী বেশীর ভাগ মানুষ। এতে করে দুর্গন্ধযুক্ত বাতাসে জনসাধারণের চলাচলে যেমনি কষ্টকর তেমনি এসব বর্জ্যে ছড়িয়ে পড়ে নানা রোগবালাই।
তবে এবার অবস্থা আরো ভয়ংকর। কারণ একদিকে সারাদেশে যেমনি মহামারি করোনা থাবা দিয়েছে, অপরদিকে মশার উৎপদ্রবে এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত নানামুখী রোগে আক্রান্ত হতে পারে সাধারণ মানুষ। তাই এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান কবজ হলো গণসচেতনতা। একমাত্র আমরা সচেতন হলেই মুক্তি পেতে পারি উল্লেখিত রোগ থেকে।
বিভিন্ন সময় আমরা দেখতে প্ইা, সামর্থ্যবান মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ঈদুল আযহার দিনে পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে মুসলমানরা পবিত্রতা অর্জন করে। কিন্তু কোরবানির ধারাবাহিকতা পালন করলেও, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ এটাই ভুলে যায় অনেকেই। কোরবানীর ঈদে নানা ধরনের প্রস্তুতির সঙ্গে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ও ভাবতে হয়।
এ বিষয়টি মাথায় রেখেই এবারের ঈদুল আযহার পশু কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার ঘোষণাও দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া বর্জ্য অপসারণের সার্বিক কাজ পর্যবেক্ষণে রাখবেন প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ। এমন উদ্যোগকে স্বাগতও জানিয়েছেন নগরবাসী।
এদিকে, চলমান রয়েছে মহামারি করোনায় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট এর প্রকোপ। দিন দিন বেড়েই চলছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর উপর যদি কোরবানী গরুর গোশত বিলিকে ঘিরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয় তার জন্য ঝুঁকির মধ্যে পড়বে পুরো পরিবার ও প্রতিবেশী। যা ছড়িয়ে যেতে পারে পাড়া-মহল্লায়। অন্যদিকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি যে অন্যান্য বছরের তুলনায় খুবই ভয়াবহ, এটা সবারই জানা কথা। তাই দ্রæত সময়ের মধ্যে কোরবানীর বর্জ্য, পানি ও রক্ত ইত্যাদি অপসারণ না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। করোনা ও ডেঙ্গু একসাথে হানা দিলে হয়তো আক্রান্তের সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে মৃত্যুর মিছিল। তাই এ বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এছাড়া যেখানে সেখানে পশু কোরবানীর সংস্কৃতি থেকেও বের হয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।