নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন, আধুরিয়া ও মুড়াপাড়ায় ভ‚মি-গৃহহীন পরিবারের জন্য ৪৯৮টি টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেঁষে ৫০ শতাংশ জমি নিয়ে দড়িকান্দি এলাকায় প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে নির্মিত আবাসন প্রকল্পের জমি ও গৃহ বিতরণ কার্যক্রম আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন।
২০ জানুয়ারি বুধবার প্রকল্প পরিদর্শন করেন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর পরিচালক মাহবুব হোসেন। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খাঁন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আলমাছ উপস্থিত ছিলেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের নির্মিত টিনশেড গৃহে রয়েছে দু’টি শয়ন কক্ষ, একটি রান্না ঘর, সংযুক্ত বাথরুম ও গোসলখানা। সামনে বারান্দা সহ রঙ্গিন টিনের চালা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০ নং ঘরের মালিক মুড়াপাড়া ইউনিয়নের বানিয়াদী এলাকার সন্ধ্যা রানী বলেন, শিশুকালে তিনি পিতা হারান। ৩৫ বছর আগে স্বামীর মৃত্যু হয়। ভিক্ষা করে তিনি কষ্টের জীবন যাপন করছেন। মাঝে মধ্যে মুড়াপাড়া বাজারে পেয়াঁজের দোকানে পরিছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তার আয়ের টাকার বেশির ভাগই বাড়ি ভাড়ায় খরচ হয়েছে। তার জীবনে সঞ্চয় বলতে কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতাংশ জমি বরাদ্দ দিয়ে ঘর তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, নারায়ণগঞ্জে ভূমি ও গৃহহীন ৬৬৭ পরিবারের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভ‚মি-গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্প মুজিববর্ষ ভিলেজে ইতিমধ্যেই পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ সকল নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশে একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবেনা। সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। পর্যায়ক্রমে সকল গৃহহীনদের এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।