পুলিশের সতর্কতায় ধর্মীয় উদ্দীপনায় নারায়ণগঞ্জে ঈদ পালিত

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ( স্টাফ রিপোর্টার ) : মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেই যথাযথ ধর্মীয় উদ্দীপনায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে নারায়ণগঞ্জে মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল আযহা পালিত হয়েছে। ১লা আগস্ট শনিবার মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ঈদ-উল আযহার জামাত শেষে সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি করেছেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জে সকল ঈদের জামাতে ধর্মীয় উদ্দীপনায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ পূর্ব থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সকল মসজিদে প্রবেশ পথে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় ছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে আগত মুসল্লিদের শরীর মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষের সহায়তায় মুসল্লিদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয় অনেক স্থানে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল মুসল্লিগণ মাস্ক পরিধান করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে মসজিদে প্রবেশ করেন। নামাজে ঈমামগণ মুসল্লিদেরকে এ ব্যাপারে ধর্মীয় বিশেষ উপদেশ সমূহ আলোচনা করেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্বের সকল মুসলমান উম্মাহর জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়। ‍ ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে জেলার সকল স্থানে পশু কুরবানী দেয়া হয়েছে।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম বার পিপিএম বার এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবার নারায়ণগঞ্জ জেলার সড়ক পথে কোন যানজট হয়নি। এছাড়াও ডিআইজির সঠিক পরিকল্পনায় ঈদের নামাজে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম নারায়ণগঞ্জ জেলাবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সকলের মঙ্গল কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সকল অফিসার ফোর্সের জন্য ঈদ উপলক্ষে উন্নত খাবারের আয়োজন করেছেন।

উল্লেখ্য যে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার সকল পুলিশ সদস্য নিজ কর্মস্থলে থেকে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঈদ উদযাপন করছেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত