নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (ডেস্ক রিপোর্ট) : বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণ ভালো করেই জানেন, আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা সব সময় ঝাঁঝালো কিছু শব্দ চাতুর্যের মাধ্যমে প্রয়োগ করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে। মির্জা ফখরুল সাহেব সমন্বয়হীনতার কথা বলে কি বোঝাতে চেয়েছেন- তা স্পষ্ট না করে বরাবরের মত কথামালার চাতুরি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা ও মানবিক প্রয়াস দেশবাসীর জানা। অতীতে দেশের বিভিন্ন দুর্যোগে শেখ হাসিনা ও তার দল মানুষের পাশে সবার আগে দাঁড়িয়েছে। সরকারে থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় যে সক্ষমতা দেখিয়েছে তা অতীতে ও বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রসংশিত। করোনা সংকট মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ ও অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার দক্ষতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও আক্রান্তদের চিকিৎসাসহ অন্যান্য কার্যক্রমে।
নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পর বুধবার বিকালে নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।এরআগে দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, লকডাউন না করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করাটা সরকারের বড় ধরনের ভুল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার অর্থনৈতিক লোকসানের কথা জেনেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। অর্থনৈতিক স্থিতি ও ক্ষতি পুষিয়ে জনগণের কল্যাণে কয়েক স্তরে ঘোষণা করেছে প্রণোদনা প্যাকেজ। সাধারণ ছুটি বা লকডাউন যে নামেই বলা হোক, এর উদ্দেশ্য হল শারীরিক তথা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। সরকার জনগণের সচেতনতার দূর্গ গড়ে তোলাকে দুর্যোগ মোকাবিলার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করলেও মির্জা ফখরুল সাহেব সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম মিথ্যাচার করছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবেই আজ লকডাউনে আটকে রয়েছে। তারা সরকারের কোনো ইতিবাচক প্রয়াস খুঁজে পান না। মহামারী রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণা করে সরকার, যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। ছুটির এসময় অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন বন্ধ করে মানুষজনকে ঘরে থাকতে বলা হয়। সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন বিধিও মানার আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে সাধারণ ছুটি আর না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পরিসরে অফিস-আদালত খোলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।