নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( মো. রাব্বী সরকার ) : দিন যত যাচ্ছে করোনা ভাইরাসে দেশে আক্রান্তের সংখ্যাও ততই বাড়ছে। দেশ যখন টালমাটাল ভাইরাস মোকাবিলায়, তখন নারায়ণগঞ্জে সে হারে নেই সচেতনতা। হাচ্ছি-কাশি দেয়াতে নেই অনেকরই সতর্কতা, চলছে এক কাপে চা-পান খাওয়া। আবার কেউ কেউ মাস্ক পড়েও জানেনই না কি করতে হবে এই ভাইরাস প্রতিরোধে। এ যেন সচেতনতার নামে অচেতন মানুষ।
২৩ মার্চ (সোমবার) রাতে শহরের কয়েকটি স্থানে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক যতটাইনা বেশি, ঠিক ততটাই নিয়ম মানার ক্ষেত্রে উদাসিন। করোনা সচেতনতায় অনেকে মাস্ক পড়ে থাকলেও সঠিকভাবে করছে না নিজ হাতের ব্যবহার। আবার চায়ের দোকান থেকে শহরের অলিগলিতে সবখানে এক কাপেই চলছে চা পান। সাথে সড়কের পাশে থাকা রেস্টুরেন্ট থেকে অসাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাওয়া। বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম কমছেই না। আইনঙ্খলা বাহিনী আসলেই আবার বদলে যাচ্ছে চিত্র। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধে স্বপ্রণোদিতভাবে মানতে হবে নির্দেশনা এবং ডাক্তারদের পরামর্শ। অন্যথায় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এই ভাইরাস।
শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের একটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মীর কাছ থেকে জানা যায়, করোনা সংক্রমন রোধে সতর্কতা অবলম্বনে ফ্ল্যাটেরই একজন নিজ উদ্যোগে তাকে জীবাননাশক স্প্রে ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছে। যেন ভবনে দরজায় প্রবেশ করলেই মুখমন্ডলের নিচের অংশ যেমন, শার্ট বা পেন্টের চর্তুদিক, জুতো ভালো করে স্প্রে করা হয়। এরপর নিচে বিশেষ ব্যবস্থা থাকা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে তারপর যেন লিফট বা সিড়ি দিয়ে বাসায় প্রবেশ করে এতে সুরক্ষিত থাকার একটা নিশ্চয়তা তৈরী করে। তবে এসব মানতে নারাজ কেউ কেউ। যার জন্য নিরাপত্তাকর্মীকে গিলতে হয় অনেকেরই দমক।
তাই ক্ষোভ নিয়েই তিনি বলেন, মানুষ ভালো কাজ করলেও বাধা দেয়। কেমনে করি। তারপরেও কি করার মানুষের ভালোর জন্যতো করতে হয়। যে এগুলো নিজ উদ্যোগে দিল, সে তো আর খারাপ কোন কাজ করেনি। কিছু মানুষ বুঝে না।
উকিলপাড়ায় হৃদয় নামে এক ব্যক্তি জানান, চায়ের স্টোর, বিড়ি সিগারেট যেখানে খাচ্ছে এগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিলেও মানছেনা অনেকেই।
শহরের দুই নাম্বার রেল গেইট এলাকায় জুলহাস বলেন, দোকানে বসেছে চায়ের আড্ডা। যেখানে শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু বিভিন্ন বয়সের লোকজন। একদিকে জনসাগম আরেক দিকে এক কাপেই একের পর একজনের চা পান। আবার বিড়ি সিগারেট একজনের মুখের টা আরেক জনে মিলে মিশে খাওয়া। এসব কারণে করোনা সংক্রমণ হতে পারে।