পাবলিক পরীক্ষার সময় শ্যাডো এডুকেশন বন্ধের আওতামুক্ত রাখতে সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : পাবলিক পরীক্ষার সময় শ্যাডো এডুকেশন বন্ধে আওতামুক্ত রাখা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফ্রিল্যান্সারদের শ্যাডো এডুকেশন সেন্টার এর নেতৃবৃন্দ। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

নেতৃবৃন্দ জানান, ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মমো এসএসসি পরীক্ষার সময় সরকার কোচিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে আমাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি। কিন্তু দৃশ্যমান ফল হলো সে বছর বিগত সময়ের মতই প্রশ্নফাঁস অব্যাহত থাকে। এর থেকে এটা সহজেই অনুমেয়, ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা পরিচালিত ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সাথে প্রশ্নফাঁস হওয়ার সম্পর্কযুক্ত নয়।

তারা আরো বলেন, সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে আমরাও একমত। কারণ আমাদের দ্বারা আজ পযন্ত কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেনি। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পযন্ত প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯০ জন গ্রেফতার হয়েছিলো সরকারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের ফলে। এজন্য আমরা সরকার ও শিক্ষামন্ত্রনালয়কে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো সেন্টারের শিক্ষক কোনোদিন এসব ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলোনা এবং ভবিষ্যতেও থাকবেনা। কারণ আমাদের এখানে কোনো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো হয়না। এখানে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ও কলেজের ছাত্ররা মেধার মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে বেকারত্ব সমস্যা দুর করছে। শুধু তাই নয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অল্পটাকায় শিক্ষা গ্রহণ করছে। আমরাও তাদেরকে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শ্রম দিয়ে যাচ্ছি। এব্যাপারে ২০১৯ সালে মহামান্য হাইকোর্ট একটি রিট পিটিশনের রায়ে বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষকগণ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অর্থের বিনিময়ে যে পাঠদান করেন তাহাই কোচিং, এটা শিক্ষার মানউন্নয়নের জন্য প্রতিবন্ধক। স্কুল কলেজের এ ধরনের কোচিং অবৈধ এবং শাস্তিমূলক অপরাধ।

ফ্রিল্যান্সারদের শ্যাডো এডুকেশন সেন্টার এর নেতৃবৃন্দরা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন কোচিং বানিজ্য খারাপ, কোচিং বানিজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা উচ্চ আদালতের রায়কে সম্মান জানাচ্ছি। কোচিং বানিজ্যের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, আমরা প্রশ্নফাঁস এবং কোচিং বানিজ্যকে ঘৃনা করি। আপনাদের মাধ্যমে বর্তমান সরকার ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি যে, মানবিক কারনে বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের বেকার সমস্যা দুরীকরনে এবং রুটি রুজির মাধ্যমে আমরা যেনো কর্মসংস্থান থেকে লক্ষাধিক শিক্ষারত ছাত্ররা বঞ্চিত না হই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমরা আশাবাদী।

আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন টিপুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি এড. ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল আলম, এড. নজরুল ইসলাম সহ প্রমুখ।

add-content

আরও খবর

পঠিত