হোসিয়ারি ব্যবসায়ীকে মাদক দিয়ে ফাঁসানো এএসআই এনায়েত প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : হোসিয়ারি ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনায়েত করীমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এনায়েত করিমকে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা (ডিআইও-২) শাফিউল আজম খান।

গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে এএসআই এনায়েত করিমের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর আলামিন নগরের বাসিন্দা হোসিয়ারি ব্যবসায়ী মো. জিকুকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করে জিকুর পরিবারের লোকজন।

নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে মো. জিকুর মুক্তি ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে জিকুর পিতা মজিবুর রহমান, মা সুলতানা বেগম, ভাতিজী অন্তরা আক্তার, ছোট ভাই জামিল আহমেদ রিকু উপস্থিত ছিলেন।

স্বজনদের দাবি, দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না পাওয়ায় তাদের সন্তানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছেন এএসআই এনায়েত করিম। সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের শহীদ নগরের বাসিন্দা। আমার ছেলে জিকু তিনটি মেশিন নিয়ে ছোট হোসিয়ারির ব্যবসা করে। গত ১২ ডিসেম্বর জিকু ও তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শামীমকে কোন কারণ ছাড়াই তুলে নিয়ে যায় এএসআই এনায়েত করিমের নেতৃত্বের একদল পুলিশ। পরে দুই লাখ টাকা দাবি করে এনায়েত। আমি অনেক কষ্ট করে স্ত্রীর অলংকার বন্ধক রেখে ৩০ হাজার টাকা পরের দিন শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জনৈক সুমনের মাধ্যমে এএসআইকে দেই। ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পরও সে আমার ছেলে জিকু ও শামীমকে ১০ গ্রাম হেরোইন দিয়ে চালান দেয়।

জিকুর বাবা বলেন, আমার ছেলে সিগারেটও খায় না। সেখানে হেরোইনের মতো নেশাদ্রব্য দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। আজ অপরাধ না করেও অসাধু পুলিশ এএসআই এনায়েত করিমের জন্য বিনা অপরাধে জেল হাজত খাটছে আমার ছেলে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জের মাননীয় পুলিশ সুপার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

তবে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে নারাজ অভিযুক্ত এএসআই এনায়েত করিম। তিনি বলেন, তারা এসপি স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে। এখন আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে পারবো না। আপনারা যা খুশি লিখতে পারেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষী যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত