নারায়ণগঞ্জের নতুন এসপি জায়েদের যোগদান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের নতুন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমকে বরণ করে নিয়েছে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে নতুন এসপি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এর আগে নতুন পুলিশ সুপারকে বরণ করার লক্ষ্যে নির্মিত মঞ্চ থেকে পুলিশের রীতি অনুযায়ী তাকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এবং ওই মঞ্চে পুলিশ সুপার উঠে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের সালাম গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি পুলিশের বিভিন্ন পদে থাকা কর্মকর্তাদের সাথে পরিচয় হন এবং কুশল বিনিময় করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মো. নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সুবাস চন্দ্র সাহা’সহ সকল সার্কেল ও থানার অফিসার-ইন-চার্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে নিযুক্ত করেন মোহাম্মদ জায়েদুল আলমকে।

২২তম বিসিএস ক্যাডার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনীতে। ২০১৬ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জের পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। কঠোর ছিলেন তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে। ছাড় দেননি পুলিশ সদস্যদেরও। তিনি মুন্সিগঞ্জসহ দেশের সর্বত্রই আলোচিত একজন ব্যক্তি।

এর আগে, ৩ নভেম্বর এসপি হারুন অর রশীদকে বদলী করে পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই বদলী করা হয় তাকে।

তিনি একাদশ নির্বাচনের মাত্র ২২ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছিলেন। তার দায়িত্বের ১১ মাস নারায়ণগঞ্জের প্রেক্ষাপট ছিলো অন্য যে কোনো সময় থেকে ভিন্ন। আতঙ্ক ছিলো সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধীরা। অনেকাংশেই কম ছিলো দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরণের অপরাধ প্রবণতা। তবে, শেষের দিকে তিনি ব্যাপকভাবেই বিতর্কের জালে জড়িয়ে যান।

add-content

আরও খবর

পঠিত