নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁয়ে কিশোরী জান্নাতুল জেবা (১৩) হত্যা মামলায় সন্দেহজনক হিসেবে সৎ বাবা ফজলুর করিমের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১৪ অক্টোবর সোমবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামি ফজলুর করিম (৩৮) কুমিল্লা দেবিদ্বার থানার ফরিদ মিয়ার ছেলে।
জান্নাতুল জেবা ঢাকার যাত্রাবাড়ির কোনাপাড়া এলাকার মান্নান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৮ম অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জান্নাতুল জেবা গোপালগঞ্জ জেলার চরমানিকদা গ্রামের দিদার মিয়ার মেয়ে। তার পরিবার যাত্রাবাড়ি কোনাপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্টের এসআই কামাল হোসেন জানান, সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পিয়ারনগর এলাকায় একটি ঝোপ থেকে গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন পুলিশ। পরে নিহত জেবার মা মানছুরা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জেবার মা তার সাবেক স্বামী ফজলুর করিমকে সন্দেহজনক আসামি করে। পরে তাকে ঢাকা লালবাগ পোস্তাগোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলায় আজ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পিয়ারনগর এলাকায় একটি ঝোপ হতে গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত কিশোরীর গলিত লাশের পরিচয় সনাক্ত করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের পিয়ারনগর এলাকার একটি ঝোপের ভেতর একটি গলিত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাত, পা ও মাথাবিহীন কিশোরীর গলিত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পরে নিহতের পরিহিত জামা কাপড় ও জুতা নিয়ে দেশের বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে ডেমরা থানায় এ ধরনের একটি মেয়ে নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করা হয়েছে।পরে ওই জিডির সূত্র ধরে ৮ অক্টোবর সোমবার রাতে তিনি নিহতের মা-বাবাকে তার পরিহিত জামা কাপড় ও জুতা দেখালে তারা তার পরিচয় শনাক্ত করেন।
এদিকে নিহত জান্নাতুল জেবার মা মানছুরা বেগম জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে কে বা কারা তার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর বহু খোঁজাখুজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ ঘটনায় ডেমরা থানায় একটি জিডি করা হয়।