নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : কয়েক মাস পূর্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দর উপজেলার মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে পুরাতন ব্রীজ সংলগ্নে বিশাল একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও পানি নিস্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এবং যেটুকু ব্যবস্থা আছে সেটা বিভিন্ন আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ফুলহর, মদনপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর, পশ্চিম কেওঢালা, পূর্ব কেওঢালা, লাউসার, নেহালসরদারবাগ, বাগদোবাড়ীয়া ও কাইনলীভিটা সহ কয়েকটি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পানি জমে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত সহ নানাবিধ দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে এ অঞ্চলের জনসাধারণ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিশাল অংকের অর্থ খরচ করে মদনপুরে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া যেসকল জায়গায় ছোট ছোট ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ করা হলে জলাবদ্ধতা থেকে আমরা মুক্তি পাবো সেদিকে নজর দেয়া হচ্ছেনা। বর্ষার পানি আটকে থাকা ছাড়াও অতি বৃষ্টি হলে এ গ্রামগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গ্রাম থেকে বের হবার রাস্তাগুলো পানিতে নিমজ্জিত হবার পাশাপাশি বাড়ীর উঠোনে এমনকি ঘরে পর্যন্ত পানি ঢুকে পড়ে।
জলাবদ্ধতায় বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে। বিভিন্ন শিল্পকারখানার দূষিত পানি জমে থাকা পানির সাথে মিশে চারপাশে দূর্গন্ধের সৃষ্টি করে যার ফলে এ অঞ্চলে বসবাস করা কঠিন বিষয় হয়ে দাড়ায়। অনেক বাড়ীতে পয়:নিস্কানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সে বর্র্জ্যগুলো পর্যন্ত পানিতে মিশে গিয়ে পানিকে ব্যাপকভাবে দূষিত করছে এবং পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার দরুণ পানিবাহিত এ সমস্যা আমরা দীর্ঘদিন ধরে মোকাবেলা করে আসছি।
যেখানে যেটা প্রয়োজন সেটা সেখানে না করে অন্যত্র অঢেল অর্থ খরচ করে বড় বড় কালভার্ট নির্মাণ করার মাধ্যমে সরকারের অর্থ অপচয় করা হচ্ছে। তাই আমাদের পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি দিতে এবং জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে উল্লেখিত এলাকাগুলোর পানি নিস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।