সোনারগাঁয়ে গার্মেন্টস কর্মী গণধর্ষণের শিকার, আটক-৫

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪সোনারগাঁও সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে শাহানাজ বেগম (  ২৪ ) নামে  এক গার্মেন্টস কর্মী। ধর্ষণের শিকার ঐ গার্মেন্টস কর্মী রুপগঞ্জ উপজেলার বালিয়াপাড়া,ছোট দড়িকান্দী এলাকার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী শাহানাজ বেগম। এ ঘটনায় শাহানাজ বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করেন, রুপগঞ্জের রবিন টেক্স নামের একটি গার্মেন্টসে চাকরী করেন শাহানাজ। প্রতিদিনের ন্যায় ৭ অক্টোবর সোমবার সন্ধা ৬টায় গার্মেন্টস ছুটির পর গাউসিয়া যাওয়ার জন্য একটি সিএনজিতে উঠেন তিনি । এসময় তিনি লক্ষ্য সামনের সিটে ৭নং বিবাদী জাহাঙ্গীর বসা ছিলো। কিছু দূর যাওয়ার পর জাহাঙ্গীর সিএনজি ড্রাইভারকে জোরপূর্বক তালতলার দিকে নিয়ে যেতে বলে । এসময় গার্মেন্টস কর্মী শাহানাজ বেগম বাঁধা দিলে তার মুখে সাদা রংয়ের স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে সোনারগাঁও থানাধীন ব্রামনবাওগা এলাকায় জনৈক আ:হালিম এর দোচালা টিনের ঘরে নিয়ে যায়। তখন ওই ঘরে আগে থেকেই বিবাদীরা ১.আবু সাঈদ (২৫), পিতা: মজিবুর রহামান ২.ইমরান (২৩) পিতা: রেহাজ উদ্দীন ৩.রনি মিয়া (২০) পিতা: নবী হোসেন ৪.আবুল হোসেন (৩২) পিতা: আবু সিদ্দিক সর্বসাং ব্রাহ্মনবাওগাঁও ৫.মাসুদ (২২) পিত: মো.বুট্টু মিয়া সাং বাগবাড়ী ৬. আরিফ (১৯) পিতা: আমির হোসেন ৭.জাহাঙ্গীর (২৮) পিতা:মৃত সামসুল হক সর্বসাং ভ্রামনবাওগাঁ। আগেই থেকেই তারা ঘরে উপস্থিত ছিলো।

এ সময় বিবাদীরা গার্মেন্টস কর্মীকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। অবশেষে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বাড়ীর মালিক আঃ হালিম ঘরে এসে গার্মেন্টস কর্মীকে  উদ্ধার করে তাদের হাত থেকে রক্ষা করে। পরবর্তিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় ধর্ষণের শিকার সোনারগাঁও থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসান উল্লাহ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত ১.আবু সাঈদ ২.রনি মিয়া ৩.আবুল হোসেন ৪.মাসুদ ৫.জাহাঙ্গীর সহ ৫জনকে গ্রেফতার করেন।

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ৫জনকে আটক করা হয়েছে। আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণ করার প্রক্রিয়া চলছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত