নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : শরতের লগ্নে শারদীয় দুর্গাপূজার মহা অষ্টমীতে নারায়ণগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান আকর্ষণ কুমারী পূজা। সমগ্র মানব জাতির কল্যাণে মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে প্রতিমার আদলে জগত জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে অনুষ্ঠিত হয় এ পূজা। শাস্ত্র মতে কুমারী পূজার দিন মা দূর্গার অপর নামে কুমারীর নামকরণ করা হয় অপরাজীতা। আর তাই এ উৎসবটি পালনে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামতে শরু করে নারায়ণগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশনে।
লগ্ন অনুযায়ী ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুর ১২ টায় জয়ধ্বনি দিয়ে কুমারী মাকে বরণ করে আসনে বসায় হাজারো ভক্তবৃন্দ । এবার কুমারী দেবীরূপে মন্ডপে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ৯ বছর সাত মাস বয়সী, তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ঐশী চক্রবর্তী । তার বাবা পরিমল চক্রবর্তী পেশায় চাকরিজীবী এবং মা রীতা চক্রবর্তী গৃহিনী।
ওলু ওলু ধ্বনিতে ঢাক ঢোল ও শংক বাজিয়ে কুমারী মাকে আসনে বসিয়ে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়। এসময় ১৬ টি উপকরণ দিয়ে পূজার কাজ শুরু হয়, যেখানে ছিল অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস। এগুলো দেয়ার পর দেবীর গলায় পুষ্পমাল্য পড়ানো হয়। পূজা শেষে দেবীর আরতি নিবেদন করে দেবীকে প্রণাম করেন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান, তিলক মহারাজ। এদিকে রামকৃষ্ণ মিশনে পরিদর্শনে এসে পূজামন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদ সম্মেলন করে নারায়ণগঞ্জ র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল কাজী শমশের উদ্দিন। এসময় তিনি আশ্বস্ত্য করেন, কোথাও কোন সমস্যা হবে না। নিরাপদে উৎসব পালনে পুলিশ, র্যাব কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা র্নিভয়ে উৎসব উদযাপন করবেন। যদি কোন সমস্যা মনে হয় আমাদের জানাবেন ব্যবস্থা নিব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিআই এর পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা ও সাধুনাগ মহাশয় আশ্রমের তারাপদ আচার্য, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অরুন দাস প্রমুখ।
এছাড়াও হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ মুসলিম, বৌদ্ধও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা উৎসব উদযাপন করছে বলে দাবী করে প্রবীর কুমার সাহা জানায়, আমি চাই নারায়ণগঞ্জের মত সারাদেশে এমন উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হোক। বিশেষ করে রাতের চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। হিন্দু মুসলিম সকলেই উৎসবটি উপভোগ করছে। আগামীতে কোন নিরাপত্তা ছাড়া দুর্গা পূজা করতে পারি এমন আশা ব্যক্ত করেন তিনি।