নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (ডেস্ক রিপোর্ট) : সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে খালেদা জিয়ার জামিন হচ্ছে না অভিযোগ করে তার আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম জিয়া অবশ্যই জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসবেন। হয় তার মুক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় হবে, তা না হলে জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তার মুক্তি হবে। অন্য কোনো পথে তার মুক্তি হবে না।তবে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণবিস্ফোরণ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি হবে না বলে মনে করেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা। আগামীতে সেই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দলীয় প্রধানের কারামুক্তির পথ খুলতে আদালতে জামিন আবেদনের বিরোধিতা না করতে বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর পরদিন একথা বললেন তিনি।
শুক্রবার ( ৪ সেপ্টেম্বর ) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারও সঙ্গে আপস করবেন না, উনি কারও কাছে মাথা নত করবেন না। তিনি বাংলাদেশে এখন ১৬-১৭ কোটি মানুষের নেতা।প্রয়োজন হলে আরও থাকবেন, কষ্ট সহ্য করবেন কিন্তু খালেদা জিয়া কোনো দিন এই সরকারের সঙ্গে আপস করবেন না।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে দেড় বছরের বেশি কারাবন্দি খালেদার সঙ্গে সম্প্রতি বিএনপির সাত সংসদ সদস্য দেখা করে আসার পর তার ছাড়া পাওয়া নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। খালেদা প্যারোলে মুক্তি চান না জানিয়ে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে তার জামিনের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন দলটির সংসদ সদস্যরা। তার প্রতিক্রিয়ায় আগের মতোই তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা রাজবন্দি নন, ফলে তার জামিনের বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের বিষয়।
এরপরই বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের নেতা জয়নুল আবেদীন আবারও খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এক্ষেত্রে সরকারের ছাড় চেয়েছেন। গত ছয় মাস ধরে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালত মিলে এখন ১৭টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে দুটি মামলায় (জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা) জামিন পেলেই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে তার আইনজীবীদের ভাষ্য। দুর্নীতি দমন কমিশনের এ দুই মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আবেদন আপিল বিভাগে এবং দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া ৭ বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল হাই কোর্টে বিচারাধীন।
সূত্র : বিডি নিউজ।