না.গঞ্জে নকল প্রশাধনী ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য জব্দ, গ্রেফতার-৮

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যমানের নকল প্রশাধনী ও নকল স্টিকার লাগানো ইলেকট্রনিক্স পণ্য জব্দ করেছে পুলিশ। ২রা অক্টোবর বুধবার রাত ১১টার দিকে নারায়ণঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে।

সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল-ডেমরা সড়কের পাশে ম্যাক্স ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড এবং মুনস্টার প্রাইভেট লিমিটেড নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী বেলায়েত হোসেনকে গ্রেফতার করতে না পারলেও প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : সাইফুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম, রাজীব, মাইনুল ইসলাম, মেহেদী হাসান।

অভিযান শেষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, দুইটি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী বেলায়েত হোসেন নকল প্রশাধনী তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে। বিভিন্ন দেশের ব্রান্ড নকল করে ওই প্রতিষ্ঠানে ময়লা পানি, বিভিন্ন ধরণের রং, সুগন্ধীর মাধ্যমে এসব নকল প্রশাধনী তৈরি করে ফরইভার, কোবরা, গাম্ভি, ফগ, রয়েলসহ অসংখ্য বিদেশী ব্রান্ডের পণ্যের নামে তারা বাজারজাত আসছিলো।

এছাড়া পরে আরেকটি গোডাউনে গিয়ে দেখি ৬৫ ইঞ্চি, ৭০ ইঞ্চির টিভি বানাচ্ছেন তারা ৷ সনি, স্যামসাং, প্যানাসনিক, এলজি ব্যান্ডের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন নকল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলো। বিভিন্ন ব্রান্ডের নাম থাকলেও এগুলো সব ভুয়া ৷ এসব ইলেকট্রনিক্স পণ্য সাধারণ মানুষ কিনে প্রতারিত হচ্ছিল। এ সকল প্রতারক চক্র বিশাল বড় গোডাউনে এসব তৈরি করছে এবং সরকারের বিশাল অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে৷ তারা ৫০-৬০ কোটি টাকার প্রায় লক্ষ লক্ষ টিভি তারা বানিয়েছে ৷ আমরা অভিযান না চালালে এগুলা তারা বাজারজাত করতো৷ তাদের সেন্ট ও প্রশাধনীগুলো খুবই বাজে৷ মানুষ এসব ব্যবহার করলে তাদের চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে৷ ক্যান্সার রোগ হবারও সম্ভবনা রয়েছে৷

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মানুষকে যে প্রতারিত করছে সে আইনে আমরা মামলা নেবো৷ মূল হোতাকেও আইনের আওতায় আনা হবে৷ জব্দ করা পণ্য সামগ্রীর মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা বলেও জানান পুলিশ সুপার।

তিনি আরো বলেন, প্রশাধনীগুলো ব্যবহারের ফলে মানুষের ক্যান্সার এবং চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক। এতে সরকারের বিশাল অংঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আসছিলো। আমরা এখান থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছি। প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী বেলায়েত হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতেও এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ।

add-content

আরও খবর

পঠিত