নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডে জিএমসি নামীয় অস্থায়ী হাট বসাতে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. নুরুন্নবী স্বাক্ষরিত কয়েকটি আদেশ নামার ফেস্টুন বর্তমানে সে জায়গার পাশে সাটিয়ে রাখা হয়েছে। আদেশ নামায় উল্লেখ করা হয়েছে, হাইকোর্ট ফরম নং জে (১৩) বিভাগ ঢাকা, জেলা নারায়ণগঞ্জ। পিটিশন মামলা নং- ৩১৯/১৯নং পিটিশন মামলা নথিভুক্ত, বাদী মোহাম্মদ আলী বনাম বিবাদী জামিলা খাতুন, আদেশ নং- ০২, তারিখ ২২/০৭/১৯ইং।
আদেশ হয় যে, উক্ত পিটিশন মোকাদ্দামার ১ থেকে ৯ নং- বিবাদী সহ ৩য় পক্ষ আব্দুল হাইয়ের উক্ত নালিশ ভূমিতে প্রবেশ অধিকার নিষেধারোপ করেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনকে উক্ত নালিশাভূমির উপর পশুর হাট না দেওয়ার আদেশ প্রদান করা হল। নালিশাভূমির শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নারায়ণগঞ্জ মডেল সদর থানা ওসি কে নির্দেশ প্রদান করা হল। আদেশ অমান্য করলে তার প্রতি ১৫৪ ধারায়/ফৌজধারী দার্য্যবিধি এ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
২৬ জুলাই শুক্রবার সরেজমিনে সৈয়দপুর করইতলা সংলগ্ন জায়গাটিতে গিয়ে দেখা গেছে, জিএমসি নামীয় জমিটি কারো দখলে রয়েছে। যেখানে প্লট আকারে নির্মাণ কাজ চলমান। এছাড়াও একটি অস্থায়ী টিন সেডের মসজিদ রয়েছে। এর পাশেই নব-নির্মিত মসজিদের কাজ চলছে।
এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে জানা যায়, সকাল থেকেই এখানে হাট বসানোর জন্য বাঁশ আনতে দেখা গেছে। জানতে পেরেছি এই জিএমসিতে হাট বসানো হবে। এজন্য নাসিক থেকে অস্থায়ী হাটের জন্য সর্বোচ্চ ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৫শ টাকা অর্থ প্রস্তাবনা করেছেন গম ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিনের ছেলে জিয়া উদ্দিন মৃধা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিয়া উদ্দিন মৃধা জানান, আমি ইজারা নিতে যাচ্ছি হাট বসাবো। হাট বসানোর স্থানটিতে একটি নিষেধারোপ আদেশের ফেস্টুন রয়েছে, কোন নিষেধ থাকলে কি সেখানে হাট বসানো যাবে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওইখানেই হাট বসাবো। কি লাগিয়েছে তা আমার দেখে লাভ নেই। ওইটা সিটি করপোরেশনের ব্যাপার। সিটি করপোরেশন আমাকে জায়গা বুঝিয়ে দিবো আমি হাট দিবো।
প্রসঙ্গত, এ বছর ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ১৪টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা দিচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক)। প্রথম দফায় অস্থায়ী হাটগুলো ইজারার আবেদন পত্র গ্রহণ ও পর্যালোচনা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে এখনো আবেদনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। এদিকে প্রথম দফায় ১৪টি অস্থায়ী হাটের মধ্যে ২টি হাটের জন্য কোনো আবেদন গ্রহণ করেনি নাসিক।
আবেদন যাচাই-বাছাই পর্বে উপস্থিত ছিলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম এহতেশামূল হক, নাসিক ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হেমায়েত হোসেন প্রমুখ।
যাচাই-বাছাই পর্ব অনুযায়ী, ১৮নং ওয়ার্ড (জিএমসি) আব্দুল হাই সাহেবের খালি জায়গার জন্য আবেদন করেছেন ৩ জন প্রার্থী। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৫শ টাকা অর্থ প্রস্তাবনা করেছেন জিয়া উদ্দিন মৃধা।