নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপার্টোর ) : ফতুল্লায় দিনে দুপুরে বাসা বাড়িতে প্রবেশ করে গৃহকর্ত্রীর চুল কর্তন করে র্দুবৃত্তদের হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ( ২ রা জুলাই ) বেলা সাড়ে ১১টায় রামারবাগ প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন মো. আবু সাইদ এর যৌথ মালিকানাধীন ৩য় তলা বাসার ২য় তলায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহকর্ত্রীর ভাই বিকেলে ফতুল্লা মডেলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
বাড়ির গৃহকর্ত্রী আবু সাইদের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার জানায়, ঘটনার সময় তিন বছরের শিশু সন্তান মিহিনকে নিয়ে তিনি বাসায় একা ছিলেন। বাড়ি ভাড়া নেয়ার কথা বলে দুর্বৃত্তরা দরজা কড়া নাড়লে ফাতেমা আক্তার দুরজা খুলতেই দুই থেকে তিন জন মুখোশধারী র্দুবৃত্তরা তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। ওইসময় র্দুবৃত্তরা একাধিকবার বলতে থাকে ওর লিভারে সমস্যা আছে, লাথি মার, মরে যাবে! আর বাচ্চাকে আটকিয়ে রাখ, ও দেখলে চিনে ফেলবে। এরপর তাকে মারধর করে বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর করে বাসায় থাকা দুটি মোবাইল ফোন সহ প্রায় ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পরে গৃহকর্ত্রীর আত্মচিৎকার শুনে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া লাভলী আক্তার ছুটে এসে দেখতে পান ভুক্তভোগী গৃহকর্ত্রী মেঝেতে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। তবে এ ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিজ স্বামীর বড় ভাইয়ের হাত থাকতে পারে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ফাতেমার।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা ভুক্তভোগীর ভাই মো. সোহেল রানার সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার ভগ্নিপতি আবু সাইদ ও তার বড় ভাই সোলায়মান খান এর সাথে সকালে পারিবারিক বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল। আমি খবর পেয়ে বোনের বাসায় ছুটে আসি। পরে ঝগড়া মিমাংসা হলে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি বোনের বাসায় রেখে নাস্তা আনার জন্য বের হই। নাস্তা নিয়ে বোনের বাসায় ফিরে এসে দেখি তার ঘরের সব আসবাবপত্র ভাংচুর করে কে বা কারা আমার বোনকে মেরে সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এসময় বাসায় থাকা আমার ব্যবহৃত আই ফোন প্লাস (০১৭৪৮৪০০৮০০) এবং অন্যটি সনি এক্সট্রা আলট্রা (০১৯১১০১২০১২, ০১৬৭৮৭১৩৭৫১) মোবাইল দু’টি সহ বাসায় থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
ঘটনার সাথে কাউকে সন্দেহ হয় কিনা জানতে চাইলে সোহেল রানা বলেন, আমার ভগ্নিপতির সাথে তার বড় ভাইয়ের পূর্ব থেকে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন সকালেও তাদের ঝগড়া হয়। এছাড়া বিভিন্নসময় তারা আমার বোন ও ভগ্নিপতিকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমার বোন লিভারের রোগী। আর দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করেই তার পেটে লাথি মারে। এতে ধারনা করছি যেহেতু আমার ভগ্নিপতির সাথে তার বড় ভাইয়ের ঝগড়া বিবাদ চলছে তাই ঘটনার সাথে তার সংশি¬ষ্টতা থাকলেও থাকতে পারে।
এ বিষয়ে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এস.আই শুভ জানান, ঘটনাস্থলে যেয়ে যা বুঝেছি এটি দুইভাইয়ের মধ্যে র্দীঘদিনের পারিবারিক কোলাহ চলছে। তবে ভুক্তভোগীরা এর একটি স্থায়ী সমাাধান চাচ্ছেন। আমি আহত গৃহকর্ত্রীকে চিকিৎসা নিয়ে বিশ্রাম নেয়ার জন্য বলেছি। আবারো ঘটনাস্থলে যাবো। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।