নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, দেশের মানুষকে নিরাপদ খাদ্যর ব্যাপারে সোচ্চার হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য জনগনের অধিকার। অথচ একটি চক্র এই খাবারে বিষ মিশিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। জেলার কোথায়ও যদি কোন ভেজাল খাবারের কারখানা থাকে, জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসন নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারে যখনই সহযোগীতা চাইবে আমরা সহযোগীতা করবো। খাদ্যে ভেজালকারীদের কোনভাবে ছাড় দেয়া হবে না। রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনের গন অনশনে অনশণকারীদের অনশন ভাঙ্গাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে বিভিন্ন পন্যে যেভাবে রাসায়নিক দ্রব্য মোশানো হচ্ছে এতে দিনি দিন জনগনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। চাল, ডাল থেকে শুরু করে শিশু খাদ্যের মধ্যেও একটি অসাধু চক্র ভেজাল করছে। বিষমুক্ত খাদ্য জনগনের নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সরকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। সেই সমস্ত সরকারী প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই খাদ্যে ভেজাল করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এমন দাবী করেছেন নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (৩০ জুন) সকাল ৭ টা থেকে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বাংলাদেশ নামক সংগঠনটি শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে গন অনশন ও আলোচনা সবার আহ্বান করে। সংগঠনের আহ্বায়ক ফরিদ আহম্মেদ বাধন এর সভাপতিত্বে অনশনে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আনিছুজ্জামান অনু, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রহিম, সাংবাদিক কামাল আহম্মেদ, সাংবাদিক মনির হোসেন সরকার, ক্রিড়া সাংবাদিক কবিরুল ইসলাম, সাংবাদিক মনির হোসেন, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন, সাংবাদিক রাসেল আহম্মেদ, সাংবাদিক জনি, নাহিদ আহম্মেদ, রিংকু, শামসুল হক ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক অপু, মাহবুবুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
পুলিশ সুপার অনশনকারীদের অনশন ভঙ্গ করানোর আগে বক্তব্যে বলেন, খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে জনগনকে যেমন সোচ্চার হতে হবে,তেমনি জনগনকে সচেতনও হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত ভেজাল খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে এগুলোর তথ্য দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য জেলা পুলিশও সর্বাত্মক সহযোগীতা করবেন। বক্তব্য শেষে পুলিশ সুপার অনশনকারীদের পানি পান করানোর মাধ্যমে অনশন ভঙ্গ করান।
অনশনে বক্তারা বলেন, ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যে বিষ দিয়ে যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কোন ভাবেই খাদ্যে ভেজালকারীদের সাথে বাংলার জনগন আপোষ করবে না। ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতে শুধু আইনগুলো কাগজে থাকলেই চলবে না, এর প্রয়োগ নিশ্চিত করার ব্যাপারেও বক্তারা জোর দাবী করেন।