স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর হত্যার আসামি পিন্টুর মৃত্যুদণ্ড

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( কোর্ট প্রতিনিধি ) : শহরের কালীরবাজারের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষকে সাত টুকরো করে হত্যার মামলার প্রধান আসামি পিন্টু দেবনাথকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দিয়েছেন আদালত। একই মামলার রায়ে পিন্টুর কর্মচারী বাপেন ভৌমিককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার অর্থ আদায় করে নিহতের পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগের রায় দিয়েছেন। এ মামলায় বড়ভাই নামে পরিচিত আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার (২৯ মে) দুপুর দেড়টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিছুর রহমানের আদালত রায় ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, রায় ঘোষণার সময় বাদী-বিবাদী সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। নিখোঁজের ২১ দিন পরে গত ৯ জুলাই শহরের কালীরবাজার এলাকা থেকে পিন্টু দেবনাথ ও বাপানে ভৌমিক বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবি। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে শহরের আমলাপাড়া এলাকার পিন্টু যে বাড়িতে ভাড়া থাকতো সেই ৪ তলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে কালিরবাজরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক পিন্টু দেবনাথ। ১৪ জুলাই বিকেলে নারায়নগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের খাস কামড়ায় প্রবীর ঘোষ হত্যাকান্ডের মূল আসামী পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। হত্যাকান্ডের এগারো মাসের মধ্যেই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

add-content

আরও খবর

পঠিত