নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নগর সংবাদদাতা ) : কারাগারে পলাশ রায় হত্যা, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ও তার পরিবারকে দেশ ছাড়া করার পায়তারা সহ সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তাগণ বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত। কারণে অকারণে আমাদেরকে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। আমাদেরকে সংখ্যালঘু বলা হয় কিন্তু যেদিন এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো সেদিনতো আমরা সংখ্যালঘু ছিলামনা। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই পাক বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো স্বাধীনতার জন্য। এটা অত্যন্ত দু:খজনক একটি ঘটনা আমাদের এই স্বাধীন দেশে একজন আইনজীবীকে কারাগারের ভেতরে পুড়িয়ে হত্যা হয়েছে। তার যদি অন্যায় থাকতো তাহলে সেই বিচার আদালত করতো কিন্তু কেনো তাকে কারাগারেই নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো।
বক্তারা আরো বলেন, গত ৪ মাসে দেশে যত ঘটনা ঘটেছে তার সকল চিত্র আমরা জনসম্মুখে তুলে ধরেছি। নির্যাতন বন্ধ হয়নি, চলছেই। আর এভাবে যদি নির্যাতন চলতে থাকে তাহলে দেশের ৯ ভাগ সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের টিকিয়ে রাখা যাবেনা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যদি ২০২১ ও ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে একটি গোষ্ঠির উন্নয়ণ করলেই হবেনা। দেশের সকল গোষ্ঠিকে নিয়েই করতে হবে। যদি আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয় তাহলে আমরা উন্নয়ন কাজে স্বত:স্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করতে পারবো। বক্তব্য শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য্যরে সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক লিটন পাল, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, জেলা খ্রিষ্টান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দেউরি, হিন্দু মহাজোটের সভাপতি এড. রঞ্জিত দে।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, শংকর দাস, উত্তম সাহা, কালিপদ মল্লিক, অমল দাস শিশির, কৃষ্ণপদ শর্মা, অরুন দাস, কৃষ্ণ দাস কাজল, রমাকান্ত শর্মা, তপন দাস, রাজিব তালুকদার, শ্যামল বিশ্বাস প্রমুখ।