নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ফতুল্লা সংবাদদাতা ) : ফতুল্লায় শারমিন আক্তার (১৮) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মুখে চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের দাগ রয়েছে। মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকার কানদইন্নার ভাড়াটিয়া বাড়ির একটি রুম থেকে রোববার (৫ মে) রাতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত শারমিন সিলেট জেলার চুনারুঘাট থানার সাগরদী গ্রামের শামীম হোসেনের মেয়ে। প্রেম করে বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে দুই মাস আগে পালিয়ে এসে বিয়ে করেন শারমিন আক্তার।
শারমিনের খালা শাহীনুর বেগম জানান, শারমিনকে হত্যার পর তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে সাগর। সাগরের বিস্তারিত পরিচয় তিনি জানেন না। সাগরের দৃষ্টামূলক শাস্তি দাবি করেন শাহীনুর বেগম।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, সাগর নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করে দুই মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিয়ে করেন শারমিন। বিয়ের পর থেকে তারা ফতুল্লার মাসদাইর গুদাঘাট এলাকার কানদইন্নার বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। প্রায়ই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ দেখা হতো। কয়েকদিন ধরে শারমিনকে মারধর করতে থাকে সাগর।
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে মারধর সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে শারমিন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।