নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ইসলাসী ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ আল মোজাদ্দেদী বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের কোন স্থান থাকবে না। আমরা জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সারাদেশে জনগনকে সচেতন করে বিভিন্ন কার্যক্রম করেছি। আহলে সুন্নাত সব সময় মাদক. সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদেরবিপক্ষে । আর আমরা দেখতে পাই যারা আমাদের পুলিশ ও বিজিবি ভাইদেরকে হত্যা করেছে সেই তথা কথিত হেফাজতের ব্যক্তিরা এই সেই আব্দুল আওয়াল সে সিদ্দিরগঞ্জের পুলিশ ও বিডিআর হত্যার আসামী। সে জেলও খেটেছেন। আজকে আমরা সুন্নী জামায়াতের লোকেরা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য গেলে অসাধু ও প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিরা, এদের জন্য সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়। ফেনী নুসরাতকে আগুনে পুঁড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে সেখানে সে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে চেয়ে না পেয়ে তার অকাল মৃত্যু হয়েছে । আর এর পিছনে প্রশাসনের কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত তাদের কারনেই প্রশাসনের বদনাম হয়। শক্রবার (২৬ এপ্রিল ) বিকেলে শহরের নগর ভবনের অপরদিকে বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদের সামনে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত আযোজনে সুন্নী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি আরোও বলেন, আমরা নিঃস্বার্থ ভাবে সরকারকে সর্মথন জানাই। পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমার লোকদের বলে মাওঃ আব্দুল আওয়ালের সাথে কথা বলেন তার সাথে সমঝোতা করেন তাহলে নাকি অনুমতি পাওয়া যাবে। এতে বুঝা যায় আব্দুল আওয়াল প্রশাসনের গডফাদার । বরিশাল থেকে এসে আব্দুল আওয়ালের নারায়ণগঞ্জে কি এমন আদিপত্য রয়েছে । যার গায়ের মধ্যে পুলিম ও বিডিআর হত্যার গন্ধ রয়েছে। তার কাছ থেকে কেনো অনুমতি নিতে হবে , কেনো সহযোগিতা নিতে হবে সুন্নী সমাবেশের জন্যে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই আমরা তো একদিনও প্রচার করার সুযোগ পাইনি মাইকে। কারন আমরা অনুমতি পাইবো কি না পাইবো এই নিয়ে সংকটে ছিলাম। আজও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। আমি বলতে চাই এই নারায়ণগঞ্জ হলো নবী প্রেমীকদের , সুন্নী জামায়েতের, আল্লাহ ওল্লা প্রেমীকদের গঞ্জ ।
সুতারাং এখানে যদি আপনারা সুন্নী আলেমদের মুল্যায়ান না করেন তা হলে ভূল করবেন। এই ভূলের মাশুল তবে দিয়ে শেষ করতে পারবেন না। আমরা শান্তি প্রিয় মানুষ এই দল নবীর আদর্শের দল। নবী পাকের আদর্শ সুন্নী জামায়েত বিশ্বাস করে । ইসলাম শান্তির ধর্ম । ইসলাম স্বাধীন ভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে সহযোগিতা করে । আজকে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ করছি । আমরা কোন লাঠিসোটা বা বোমাটুমা নিয়া আসিনি। আর প্রশাসন ভাইদের কে যেন বলছে এখানে যদি সমাবেশ হয় তাহলে সংঘর্ষ ও রক্তারক্তি হওয়ার আশংকা আছে। বড় আফসোস পঞ্চাশ বছর ধরে আমরা এখানে অনুষ্ঠান করছি সুন্নী জামায়েতের জন্যে কাজ করছি কোনদিন কিছু হয়নি। কে আপনাদের অন্তরে ধোকা দিয়েছে। ঠিক আছে ডিআইটিতে দিলেন না মন্ডল পাড়ায় দেন। তাদের ভিতরে ভয় ঢুকেছে । আরে মন্ডল পাড়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত প্রতিটি ঘরে ঘরে সুন্নী জামায়েতের লোকেরা বসবাস করে । এখানে গন্ডগোল তো দুরের কথা একটা ইবলিশ শয়তানও ঢুকতে পারবে না। প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগিতা না করে আমাদের সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি এই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপির সাথে কথা বলবো। কেনো কার ইন্ধে আজকে সুন্নী জামায়েতের সমাবেশ বন্ধ করা হয়েছে। আমি এই প্রশাসন ও সরকারের কাছে তার জবাব চাইবো। বাহাদুর শাহ শুধুমাত্র একটি মসজিদের ইমান বা খতিব নয় একটি দলের নেতা। বাহাদুর শাহর ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলায় রয়েছে। বাহাদুর শাহকে চিনতে আপনারা ভূল করেছেন । আলেম ওয়ালাদের চিনতে ভূল করছেন। আমরা সুন্নী আলেম ওয়ালারাই ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আমরা স্বাধীনতা বিরোধী জামায়েত ইসলাম ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে নিঃস্বার্থ কাজ করে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনছি । আমরা হালুয়া রুটি খাওয়ার জন্যে কাউকে সর্মথন করিনি। আমরা আহলে সুন্নাত আল জামায়েতকে প্রতিষ্ঠা করতেই সর্মথন করেছি ।